Fish

তোলা হয়নি কাঠামো, দিঘিতে মৃত বহু লক্ষ টাকার মাছ

দিঘির মালিকের অভিযোগ, বারাসত পুরসভা এখনও প্রতিমার কাঠামো তোলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫১
Share:

দূষণ: এখনও পড়ে কালী প্রতিমার কাঠামো। পাশেই ভেসে উঠেছে মরা মাছ। বুধবার, বারাসতের রথতলায় একটি দিঘিতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

অন্যান্য বছর বিসর্জনের পরেই তুলে নেওয়া হয় প্রতিমার কাঠামো। এ বার কালী প্রতিমার কাঠামো তোলা হয়নি এখনও। তারই মধ্যে বারাসতের একটি দিঘিতে মারা গেল কয়েক লক্ষ টাকার মাছ। অভিযোগ, প্রতিমার রাসায়নিক রং এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ওই দিঘির জলকে দূষিত করে তুলেছে। সেই কারণেই মারা গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার মাছ। যার জেরে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।

Advertisement

দিঘির মালিকের অভিযোগ, বারাসত পুরসভা এখনও প্রতিমার কাঠামো তোলেনি। পরিবেশবিদেরা দীর্ঘ দিন ধরেই প্রতিমায় রাসায়নিক রং বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও সিসাযুক্ত রাসায়নিক রঙের ব্যবহার বন্ধ হয়নি।

বারাসত পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় একটি বড় দিঘি রয়েছে। সেটির নাম দিঘির পুকুর। দিঘির মালিক স্থানীয় বাসিন্দা রজত ঘোষ। প্রতিবারই ওই দিঘিতে দুর্গা ও কালী মিলে শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বছর দুর্গা প্রতিমা ভাসানের পরেই পুরসভা তা তুলে ফেলেছিল বলে জানান রজতবাবু। ওই দিঘিতে তিনি ২৫ লক্ষ টাকার মাছ চাষ করেছেন বলে রজতবাবুর দাবি।

Advertisement

তাঁর অভিযোগ, দুর্গা প্রতিমা সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়া হলেও কালী প্রতিমা এখনও তোলা হয়নি। ফলে গত কয়েক দিনে প্রতিমার রাসায়নিক রং মিশে গিয়েছে দিঘির জলে। সেই সঙ্গে কাঠামোও পচতে শুরু করেছে। ওই দিঘির দেখভাল করেন সঞ্জীব নাগ। এ দিন সকালে তিনি দেখেন, বেশ কিছু মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে। তার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রুই, কাতলা, বাটা-সহ অনেক ধরনের মাছ চাষ হয় সেখানে।

বারাসত পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্যক্তিগত জলাশয়, তাই পুরসভার কোনও দায় নেই। পুকুরের মালিক মাছ চাষ করেন। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাঁরই।” এর আগে কেন পুরসভা ওই দিঘি থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলেছিল, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন