নদী বাঁধে ফাটল, আতঙ্ক বসিরহাটে

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় যান সেচ, বিদ্যুৎ এবং ব্লক অফিসের প্রতিনিধিরা। ছিলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share:

দুর্ভাবনা: রাতের ঘুম উড়েছে অনেকেরই। ছবি: নির্মল বসু

ইছামতী নদীর বাঁধে বড় ফাটল দেখা দিল। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বসিরহাটের ইটিন্ডার আখাড়পুরে। তলিয়ে যেতে বসেছে রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছগাছালি, বসত বাড়ি। আতঙ্কে রাত জাগছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় যান সেচ, বিদ্যুৎ এবং ব্লক অফিসের প্রতিনিধিরা। ছিলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। উদ্বেগ প্রকাশ করে গাছা-আখাড়পুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিশির দত্ত বলেন, ‘‘রাস্তা এবং বাড়িতে যে ভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে, তাতে যে কোনও মুহূর্তে বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে পারে। বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে পারে গ্রামে। অবিলম্বে বাঁধ সারাইয়ের জন্য বিডিও এবং সেচ দফতরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে।’’ বসিরহাট ১ বিডিও তাপসকুমার কুণ্ডু জানান, এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেচ দফতরকে।

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকারিপাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী। পাড় বরাবর ইটের রাস্তা। পাড় বাঁধাতে ইট, বাঁশের খাঁচা এবং স্ল্যাব ব্যবহার করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার তিন-চার জায়গায় মাটি বসে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ফাটল ধরেছে নদীপাড়ের পাঁচিল, ঘর-বাড়িতে। আধিকারিকদের দাবি, ইছামতীর বাঁকের মুখে ফাটলের জায়গায় মাটির তলা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। ফলে এ ভাবে ফাটল ধরেছে।

এ দিন হেলে পড়া ঘরে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আসমা বিবি। স্বামী শেখ জব্বার ছোট ব্যবসায়ী। আসমা বলেন, ‘‘সরকারি সাহায্য নিয়ে কোনও রকমে ইট-অ্যাসবেস্টসের ঘর করেছিলাম। কিন্তু সেই ঘর হেলে পড়েছে। অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। ভয়ে আমাদের খাওয়া-ঘুম বন্ধ।’’ সাত সন্তানকে নিয়ে সংসার ওসমান গাজি, লয়তন বিবির। বাড়ির সামনে বসে যাওয়া রাস্তা দেখিয়ে তাঁরা জানালেন, বাঁধ না সারানো হলে এখান থেকে বাস গোটাতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জহুর মণ্ডল, শেখ জব্বাররা বলেন, ‘‘এখানে দু’শোর বেশি পরিবারের বাস। অধিকাংশের জমি অনেক বছর আগেই নদীতে চলে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে নদীপাড়ে ঘর বেঁধে থাকছেন। এ বার সেখানেও বিপত্তি!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন