Narendrapur

নরেন্দ্রপুরে স্থানীয়দের বাড়িতে ভাঙচুর, মহিলাদের মারধর দুষ্কৃতীদের, পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটরবাইক ও অটোতে করে এলাকায় নির্বিচারে ভাঙচুর চালান শতাধিক বহিরাগত যুবক। মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে৷ ওই যুবকেরা ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৭:৩৫
Share:

উত্তর গড়াগাছা এলাকায় বহিরাগতরা ঢুকে ভাঙচুর করেন বলে দাবি স্থানীয়েদের। —নিজস্ব চিত্র।

দুষ্কৃতীদের হামলার জেরে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানায় এলাকায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার উত্তর গড়াগাছা এলাকার ১৫-১৬টি বাড়িতে ভাঙচুর চালান শতাধিক বহিরাগত যুবক৷ মারধর করে মহিলাদেরও৷ এই হামলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়েরা। যদি অভিযোগে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে জেলা পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটরবাইক ও অটোতে করে এলাকায় নির্বিচারে ভাঙচুর চালান শতাধিক বহিরাগত যুবক। মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে৷ ওই যুবকেরা ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সন্তোষী মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘সকালে কাজে গিয়েছিলাম আমরা। খবর পেয়ে বাড়িতে ঢুকে দেখি, ঘরের সমস্ত কিছু তছনছ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আমরা ৩৫ বছর এখানে রয়েছি। কিন্তু ওই গুন্ডারা বলছে, এটা ওদের জায়গা। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কানু মণ্ডল, পরেশ মণ্ডল, বিকাশ মণ্ডলেরাই লোকজন নিয়ে এই ভাঙচুর চালিয়েছে।’’

এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে বার বার জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অসহোযিতার অভিযোগ করেছেন তাঁরা৷ তাঁদের দাবি, ৩৫ বছরের বেশি এলাকায় রয়েছেন৷ মঙ্গলবার বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকে এই জায়গা তাঁদের বলে দাবি করেন। বাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে ভয়ও দেখান৷ বাপ্পা গুছাইত নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘গুন্ডাদের হামলায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি। এই মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য শাসক ও বিরোধী সকলের কাছে অনুরোধ করব। আদালতের নির্দেশ পেলে তবেই এ জায়গা ছেড়ে দেবেন স্থানীয়েরা।’’

Advertisement

স্থানীয়েরা জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আগেই আদালতের দারস্থ হয়েছেন৷ তার পরেও এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ঘটনার সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও তারা অনেক দেরি করে এসেছে বলেও দাবি৷ যদিও বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা বলেন, ‘‘এই হামলার ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন