Maheshtala Incident

১৪ বছরের কিশোরকে উল্টো করে ঝুলিয়ে ‘ইলেকট্রিক শক’! মহেশতলা কাণ্ডে গ্রেফতার ২, পলাতক মালিক

স্থানীয় সূত্রে খবর, মোবাইল চুরির সন্দেহে ১৪ বছরের সামসাদ আলিকে ওই ভাবে নির্যাতন করছিলেন কারখানারই কয়েক জন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১০:২৫
Share:

চুরির অভিযোগে শাস্তি! ছবি: ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত।

শিশুশ্রমিককে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর এবং ‘ইলেকট্রিক শক’ দেওয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। যদিও মহেশতলা কাণ্ডে ‘মূল অভিযুক্ত’ জিন্‌সের পোশাক রং করার কারখানার মালিক এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। যেখানে দেখা যায়, একটি ছেলেকে উল্টো করে ঝোলানো রয়েছে। তার বাঁধা দুই হাতে দৃশ্যমান বিদ্যুতের তার। খানিক দূরে এক যুবক ওই তারটি বিদ্যুতের প্লাগে গুঁজছেন, কিছু ক্ষণ অন্তর আর কেঁপে কেঁপে উঠছে উল্টো করে ঝুলতে থাকা কিশোরের শরীর।

পরে জানা যায়, ওই ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার অদূরে মহেশতলা পুরসভা এলাকায় জিন্‌সের পোশাক রং করার একটি কারখানায়। জানা যায়, ছেলেটির নাম সামসাদ। ইসলামপুরের বাসিন্দা সে। মাস দেড়েক আগে কলকাতায় কাজে এসেছিল এক পরিচিতের হাত ধরে। কিন্তু মোবাইল চুরির সন্দেহে তাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়ো দেখে পদক্ষেপ করে পুলিশ। কিন্তু ছেলেটির আর খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই মহেশতলা কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মোস্তাফা কামাল এবং তৌহিদ আলম। তাঁরা ওই কারখানারই কর্মী বলে খবর। বুধবারই দু’জনকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হবে। অন্য দিকে, কারখানাটি যিনি চালাতেন সেই শাহেনশাহের এখনও খোঁজ মেলেনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement