ওঝার বাড়ি না গেলে মরত না মেয়েটা, আফসোস গোলবানুর

দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার মুদিপাড়ায় রোজিনা বেড়াচাঁপা বীণাপানি বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মঙ্গলবার সকালে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের পারুলিয়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাতে ছোবল মারে সাপ। আত্মীয়-স্বজনেরা রোজিনাকে গ্রামের এক ওঝার কাছে নিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

রোজিনা খাতুন

সর্পদষ্ট মেয়েটিকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওঝার কাছে। তাতেই শেষমেশ প্রাণ গেল রোজিনা খাতুনের (১৪)।

Advertisement

দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার মুদিপাড়ায় রোজিনা বেড়াচাঁপা বীণাপানি বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মঙ্গলবার সকালে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের পারুলিয়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাতে ছোবল মারে সাপ। আত্মীয়-স্বজনেরা রোজিনাকে গ্রামের এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। মেয়ের দিদিমা গোলবানু বিবি বলেন, ‘‘ওঝা বলেছিল, শরীরে বিষ নেই। সে কথা বিশ্বাস করে ওই রাতে আবার বাড়ি ফিরিয়ে আনি নাতনিকে। বৃহস্পতিবার সকালে শরীর খারাপ হতে থাকে।’’ রোজিনাকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রোজিনার মৃত্যু হয়। গোলবানুর আফসোস, ওঝার কাছে নিয়ে না গেলে হয় তো প্রাণে বাঁচত নাতনি। বুধবার রাতে রোজিনার পিসির বিয়ে হয়েছিল। ওই রাতেই এই বিপত্তি। শুক্রবার গিয়ে দেখা গেল, বিয়ের অনুষ্ঠানের মণ্ডপের পাশে দেহ কবরস্থ করার তোড়জোড় চলছে। রোজিনার এক আত্মীয় রশিদ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিয়েবাড়ির আনন্দ সব মাটি। কেন যে আমরা ওঝার উপরে ভরসা করতে গেলাম!’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন