বৃষ্টিতে উপকৃত পাট চাষিরা, ক্ষতি সব্জির

জলের অভাবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাট চাষিদের। কী ভাবে পাট পচাবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না চাষিরা। পুকুর, খাল, ডোবায় যেটুকু জল ছিল তাতে পাট পচানো সম্ভব ছিল না। অনেকেই গর্ত করে শ্যালো মেশিন দিয়ে জল ভরে পাট পচানোর কাজ শুরুও করেছিলেন। তাতে অবশ্য প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

জমা জলে পাট পচানো হচ্ছে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

জলের অভাবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাট চাষিদের। কী ভাবে পাট পচাবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না চাষিরা। পুকুর, খাল, ডোবায় যেটুকু জল ছিল তাতে পাট পচানো সম্ভব ছিল না। অনেকেই গর্ত করে শ্যালো মেশিন দিয়ে জল ভরে পাট পচানোর কাজ শুরুও করেছিলেন। তাতে অবশ্য প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছিল। সে কারণে অনেকেই পাট কাটছিলেন না।

Advertisement

তবে সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে এখন অবশ্য মুখে হাসি ফুটেছে জেলার পাট চাষিদের। আবার এই বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে সব্জি চাষিদের। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পাট চাষিরা উপকৃত হলেও অনেক এলাকাতেই সব্জি চাষিদের মুখ ভার কারণ অতি বৃষ্টির ফলে কারও খেত জলের তলায় চলে গিয়েছে। কারও সব্জি নষ্ট হতে শুরু করেছে। নিচু এলাকায় থাকা আমন ধানের চাষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অরূপ দাস বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে পাটের রঙও ভাল হয়েছে। পাটের রঙও ভাল হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় সব্জি চাষের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।’’ জল নামলেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল পাট। প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে এ বার পাট হয়েছে। কালুপুর জোড়াসাঁকো এলাকায় জমি জলে ভরা। চাষিরা ব্যস্ত পাট কাটতে। অনেক আবার বৃষ্টির জমা জলে পাট পচাতে ব্যস্ত। পাট চাষি অমরেন্দু ঘোষ জানান, ছ’বিঘে জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় পাট কাটতে পারছিলেন না। বৃষ্টি হওয়ায় এখন পাট পচানো যাচ্ছে অনায়াসে।

Advertisement

গোপালনগর-নহাটা সড়কের পাশের বৃষ্টির জলে ডোবায় পাট পচানোর কাজ করছিলেন বেশ কিছু মহিলা। তাঁদের কথায়, ‘‘বৃষ্টি না হলে শ্যালো চালিয়ে পাট পচাতে হচ্ছিল। যা ব্যয়সাপেক্ষ। আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যার সমাধান হল।’’ অরূপবাবু জানান, বৃষ্টি না হলে নোংরা জলে পাট পচানোর কাজ করতে হত। এতে পাটের রঙ কালচে হয়ে যেত। পাটের রঙের উপরে দাম অনেকটা নির্ভর করে। রং যদি সোনালি হয় তা হলে দাম বেশি পাওয়া যায় বলে চাষিরা জানান।

বাগদা, বনগাঁ, হাবরা, গাইঘাটার নিচু এলাকায় সব্জির খেত জলে ডুবে গিয়েছে। এতে পেঁপে, কলা, পটলের ক্ষতি হয়েছে। ফুলেরও ক্ষতি হয়েছে। বনগাঁর চাঁদা এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত দাস বলেন, ‘‘আড়াই বিঘে জমিতে পেঁপে চাষ করেছিলাম। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ অজিত পাল নামে এক চাষির পেঁপে ও পটল জলের তলায় চলে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন