Couple Relation

নিজের প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ভিডিয়ো বানিয়ে বান্ধবীকে ব্ল্যাকমেল, ধৃত কলকাতার শিক্ষিকা

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ধৃত স্কুলশিক্ষিকা পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ান। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে কলকাতা মেট্রোয় কর্মরত এক যুবকের। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

প্রেমিকের সঙ্গে বান্ধবীকে প্রেম করতে উস্কেছেন। তার পর তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো করে সেই বান্ধবীকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক স্কুলশিক্ষিকা। একই অভিযোগে পাকড়াও হলেন শিক্ষিকার প্রেমিকও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ধৃত স্কুলশিক্ষিকা একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ান। তাঁর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে কলকাতা মেট্রোয় কর্মরত এক যুবকের। কলকাতার সার্ভে পার্কের বাসিন্দা রাজরূপা (নাম পরিবর্তিত) যে স্কুলে পড়াতেন, সেখানকারই শিক্ষিকা ছিলেন ওই নির্যাতিতা। রাজরূপার মাধ্যমে তাঁর আলাপ হয় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ মিত্রের (নাম পরিবর্তিত)। মেট্রোরেলের ওই কর্মী রাজরূপার সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি নির্যাতিতার সঙ্গেও ‘ঘনিষ্ঠ’ হন। তিন জন মিলে মাঝেমধ্যে নানা জায়গায় ঘুরতে যেতেন। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজরূপার ‘ইন্ধনেই’ নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন চিরঞ্জিৎ।

নির্যাতিতা তাঁর বাড়িতে একাই থাকেন। এক দিন তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাজরূপা এবং চিরঞ্জিৎকে নিমন্ত্রণ করেন। সেই সূত্রে নির্যাতিতার বাড়িতে যান ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর প্রেমিক। তিন জনে খাওয়াদাওয়া করেন। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে রাজরূপা এবং চিরঞ্জিৎকে থেকে যেতে বলেন। তাঁরাও থেকে যান। রাতে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন চিরঞ্জিৎ। আর সেটা ভিডিয়ো করে রাখেন তাঁর বান্ধবী।

Advertisement

নির্যাতিতার অভিযোগ, সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে পরে রাজরূপা এবং চিরঞ্জিৎ দু’জনেই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন। মেট্রোরেলের কর্মী চিরঞ্জিৎ (নাম পরিবর্তিত) তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেন। তা ছাড়াও সোনার গয়নাও দিয়ে দিতে হয়েছে তাঁকে। নির্যাতিতা জানান, তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু আবারও রাজরূপা এবং চিরঞ্জিৎ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন তাঁর কাছে। উপায়ান্তর না দেখে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোবাইল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা বলেন, ‘‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই এর চেয়ে বেশি কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন