নিজের পুকুরে মাছ বড় হচ্ছে না। একটু বড় হলেই রোগ ধরে যাচ্ছে। তাই জলের নমুনা নিয়ে নামখানায় যান দ্বারিকানগরের বাসিন্দা প্রবীর জানা। কিন্তু সরকারি অফিসে তালা লাগানো দেখে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
শুধু প্রবীরবাবুই ফিরে এসেছেন তা নয়। ব্লকের মিষ্টি জলের পুকুরে যাঁরা মাছ চাষ করেন, নানা সমস্যা নিয়ে নামখানার জল ও মাটি পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ফিরে আসতে হচ্ছে। মৎস্যচাষিদের ক্ষোভ, ওই কেন্দ্রে তালা দেখে ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্লক কর্মীরাও কিছু বলতে পারলেন না।
চাষিদের সুবিধার জন্য নামখানায় মাটি ও জল পরীক্ষা কেন্দ্রটি তৈরি হয় ২০১১ সালে। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখানে পুকুর ও জলাশয়ের জল, মাটির কিছু পরীক্ষা বিনা খরচে হয়। কিছু পরীক্ষা আবার চাষিকে টাকা দিয়ে করাতে হয়। বিশেষজ্ঞরা সেখান থেকেই বলে দেন, জল ও মাটির কী ধরনের শোধন প্রয়োজন। নামখানায় রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আর্থিক সাহায্যে তৈরি এই কেন্দ্রে এখন তালা ঝুলছে। মহকুমার অন্য কেন্দ্রগুলিতে এমন সমস্যা নেই বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা ব্লক অফিসের পাশে থাকা ওই কেন্দ্রের গ্রিল, তালায় মরচে পড়েছে। গ্রিল ঢেকে গিয়েছে আগাছায়।
কেন বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রটি?
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে ফিসারিজ এক্সটেনশন অফিসার। কিন্তু লোক না থাকায় মথুরাপুরের অফিসারকে নামখানার দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। তাই প্রায় ৬ মাস হতে চলল কেন্দ্রটি একেবারে খোলা হয়নি বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
যদিও মানুষের হয়রানির কথা মানছেন না মৎস্য দফতরের কর্তারা। ওই দফতরের সহ অধিকর্তা (ডিডিএফ আলিপুর) তাপস পারিয়া বলেন, ‘‘আমাদের সব পরীক্ষা এখন পৈলানের একটি কেন্দ্রে এনে করা হচ্ছে। সর্বক্ষণের জন্য ওখানে কেউ না থাকলে বিভিন্ন রাসায়নিক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই পরীক্ষাগারটি বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে শীঘ্রই সেখানে লোক নিয়োগ করা হবে।’’