Lockdown

কেন্দ্রের নির্দেশে বিভ্রান্তি, দোকান বন্ধ করল পুলিশ

বিভ্রান্ত হয়ে কোথাও কোথাও আবার ব্যবসায়ীরা পুলিশকে ফোন করে জানতে চাইছেন, দোকান খুলতে পারবেন কিনা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫৬
Share:

চালু বহু জায়গায় খুলে গেল এমন সব দোকান। বনগাঁয় রবিবার ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক

কোনও পূর্বাভাস ছিল না। আচমকা শুক্রবার মাঝরাতে কেন্দ্র সরকার কিছু দোকান খোলার ছাড়পত্র দেওয়ায় বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে দুই জেলার বিভিন্ন এলাকায়। রবিবার সকালে কোনও কোনও এলাকায় বেশ কিছু এলাকায় পোশাক-জুতো-হার্ডওয়্যার এবং আরও অনেক দোকান খুলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে সে সব দোকান বন্ধ করে দেয়। কারণ, এই দুই জেলাই স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে রয়েছে। বিভ্রান্ত হয়ে কোথাও কোথাও আবার ব্যবসায়ীরা পুলিশকে ফোন করে জানতে চাইছেন, দোকান খুলতে পারবেন কিনা। দিনের শেষে শহরাঞ্চলে দোকান বন্ধ করা হলেও, গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ দোকান এ দিন খোলাই ছিল।

Advertisement

এ দিন সকালে ন্যাজাট থানার ন্যাজাট ও কালীনগর বাজারের বেশ কিছু দোকান খুলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন দোকানগুলি বন্ধ করে দেয়। হাসনাবাদ থানার বাইলানি বাজারে রঙ, হার্ডওয়্যার ও পোশাকের দোকান খুলে যায়। পুলিশি টহল শুরু হতে সেগুলি বন্ধ হয়ে যায়। অধিকাংশ এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন নির্দেশিকায় তাঁরা বিভ্রান্ত। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, দোকান খোলা যাবে না। বসিরহাট থানায় এ দিন সকালে ব্যবসায়ীদের লাইন পড়ে যায়। সকলেই দোকান খোলার অনুমতি চান। কেউ কেউ আবার এ সবের তোয়াক্কা না করে দোকান খুলে ফেলেন। পরে পুলিশ স্পষ্ট করে দেয়, রেড জ়োনে দোকান খোলা যাবে না। তার পরেও যাঁরা দোকান বন্ধ করেননি, পুলিশ হয় তাঁদের গ্রেফতার, না হলে আটক করেছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ না আসায় লকডাউন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। লকডাউন অমান্য করার জন্য এদিন ৭০জনকে আটক করা হয়।”

বনগাঁ মহকুমাতেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কয়েকটি পোশাক-জুতো-বাসন-ব্যাগের দোকান খোলা হয়। পরে পুলিশ অবশ্য সে সব দোকান বন্ধ করে দিয়ে আসে। হাবড়া, গাইঘাটা এলাকাতেও দোকান খুলতে শুরু করেছিল। পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়। তবে গ্রামের দিকে সব দোকানই দিনভর খোলা ছিল। ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা এলাকায় এ দিন সকালে কিছু দোকান খুলে যায়। তবে অনেক ব্যবসায়ী আবার দোটানায় দোকান খোলেননি। দোকানপাট বেশি খোলায় বাজারে ভিড়ও বেশি জমে যায়। পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা হস্তক্ষেপ করেন। তাদের হস্তক্ষেপে বেলার দিকে বনধ হয়ে যায় দোকানগুলি। আগের মতো শুধু মাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানই খোলা রাখা হয়। ভাঙড়, ঘটকপুকুর-সহ বিভিন্ন বাজারের অধিকাংশ দোকান, বাজার খুলতে দেখা যায় এ দিন। পোশাক-হার্ডওয়্যার-ইমারতি দ্রব্যের দোকান খুলতে দেখা যায়। রটে যায়, লকডাউন উঠে গিয়েছে। বাজারে জমায়েত শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে দোকান বন্ধ করে। বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য প্রশাসন মাইকে করে প্রচারও করে। ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ মহকুমার ব্যবসায়ীরা দোটানার মধ্যে থাকলেও তাঁরা দোকান খোলেননি। কাকদ্বীপের এক ব্যবসায়ী জানান, শনিবারই শহরে তিনজন করোনা-আক্রান্তের খবর মিলেছে। ফলে তাঁরা দোকান বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন