প্রতীকী চিত্র
পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হলেন ৫ জন। এর মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও আছেন। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর শিমুলতলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা জমাত আলি জমাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে কয়েকজন আত্মীয়ের। জমাত যুব তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। অন্য দিকে, আত্মীয়েরা তৃণমূল করেন। সম্প্রতি এলাকায় একটি রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে জমাত বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে কয়েকজন লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হন। জমাতকে মারধর করার সময়ে তাঁকে বাঁচাতে আসেন পরিবার। তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন জামাত, তাঁর স্ত্রী রোকেয়া, ছেলে নুর কাশেম, সাইফুদ্দিন ও পুত্রবধূ রোজিনা। রোজিনা অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয় লোকজন তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জহিরুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জমাত ও তাঁর পরিবার যুব তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। ওই পরিবার নির্বাচনী বৈঠকে যোগ দেওয়ায় তাঁদের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা হবে।’’ তৃণমূল নেতা মন্টু গাজির অবশ্য দাবি, ঘটনাটি নেহাতই পারিবারিক। রাজনীতির যোগ নেই।