স্বজনহারা: হিঙ্গলগঞ্জে
গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার। ওই তারে হাত লেগে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।
সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের ৩ নম্বর সাহেবখালিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নারায়ণ মণ্ডল (৩৭)। দাদা তারকবাবু তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন। তিনি বসিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের, এই অভিযোগে এ দিন মৃতদেহ নিয়ে সকাল থেকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দুলদুলি এবং সাহেবখালিতে রাস্তা অবরোধ করা হয়। ফেরিঘাট দিয়ে নৌকা চলাচলও বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। লেবুখালি থেকে যোগেশগঞ্জের মধ্যে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে যান হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। তাঁরা উত্তেজনা সামাল দেন। হিঙ্গলগঞ্জের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির স্টেশন ম্যানেজার সুমন সাহা বলেন, ‘‘এক দিন আগে তারটি ছিঁড়ে গিয়েছিল। কর্মীর অভাবে তা ঠিক করা সম্ভব হয়নি।’’
যদিও বাসিন্দাদের দাবি, এক মাস ধরে ছিঁড়েছিল তার। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে ধান ব্যবসায়ী নারায়ণবাবুর হাত লেগে যায় ওই গাছে। ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি।
তাঁকে বাঁচাতে যান তারকবাবু। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছটফট করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রান্সফর্মারের স্যুইচ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কমল পাল, রতন মণ্ডল, সুভাষ মণ্ডল, কাজল সর্দাররা জানান, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির জন্য প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয় না। এর আগে রাস্তায় জমা জলে বিদ্যুতের পড়ে থাকা তারে এক মহিলা ও শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বছর অপেক্ষার পরে সুন্দরবন এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছেন। কিন্তু তা-ও বেশির ভাগ সময় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হতে হয়।
হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জন্য বিভিন্ন দফতরের কাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তবে কোনও লাভ হয়নি।’’