খোঁজ চাই পল্টুর
বয়স বছরখানেক। গায়ের রং গেরুয়া। পিঠে হালকা কালো ছোপ। বুকের কাছটায় সাদা— পল্টুর এই বিবরণই থানায় জমা দিয়েছেন পাঁচুগোপাল প্রামাণিক। আর পুলিশকে বলেছেন, ‘‘যেখান থেকে হোক, আমার পল্টুকে ফিরিয়ে আনুন। মনে হচ্ছে, ওর দিকে নজর পড়েছিল কারও। গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে।’’ পল্টুর কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে পাঁচুবাবুর।
তাঁর পেয়ারের পোষ্য পল্টু। অভ্যাস ছিল, রোজ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বনগাঁ-চাকদহ সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে যাবে। যেখানে কিছুক্ষণ গড়াগড়ি খেয়ে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বাড়ি। নিয়মে নড়চড় ছিল না বাধ্য পল্টুর। কিন্তু ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। শুক্রবার থানায় নালিশ জানিয়েছেন পল্টুর অন্নদাতা পাঁচবাবু।
পল্টুকে নিয়ে বনগাঁর ঠাকুরপল্লি এলাকায় থাকতেন পাঁচুবাবু। নিজে পেশায় হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। পশুপ্রেমী হিসাবে লোকে চেনে। জানালেন, বাড়িতে আরও একটি কুকুর রয়েছে। কিন্তু পাঁচুবাবু মন পড়ে পল্টুর কাছে।
কিন্তু কুকুর হারানোর তদন্ত করবে কী করে পুলিশ?
বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিয়েই দেখছে থানা। বনগাঁর আইসি সতীনাথ চট্টরাজ একজন অফিসার নিয়োগ করেছেন পল্টুর খোঁজ চালানোর জন্য। পুলিশের বক্তব্য, কোনও মানুষ নিখোঁজ হলে তাঁরা যে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেন, এ ক্ষেত্রেও তাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পল্টুর ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হবে।