South 24 Parganas

এত এলাকা কেন বাদ, প্রশ্ন দক্ষিণে

অনেক এলাকারই বাদ পড়া উচিত হয়নি বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তালিকা নিয়ে সরকারকে বিঁধতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৫:০১
Share:

অসচেতন: উস্তির ঘোলেরহাট বাজার। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র

দক্ষিণ ২৪ পরগনার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার নতুন তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক ঘোষণার পরেও রাতারাতি কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে চলে গিয়েছে জেলার বহু এলাকা। করোনা সংক্রমণের নিরিখে এর মধ্যে অনেক এলাকারই বাদ পড়া উচিত হয়নি বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তালিকা নিয়ে সরকারকে বিঁধতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও।

Advertisement

দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের তরফে কন্টেননমেন্ট ও বাফার জ়োনগুলিতে লকডাউন কড়া করার নির্দেশ আসার পরেই জেলা প্রশাসনের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় জেলার বহু এলাকাই ছিল। কিন্তু পরে সরকারের উপরমহলের নির্দেশে তালিকা সংশোধন করে জেলা প্রশাসন। দেখা যায়, প্রাথমিক তালিকায় থাকা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ এলাকাই বাদ পড়েছে নতুন তালিকা থেকে।

প্রাথমিক তালিকায় ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে শুধু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেই লকডাউন জারি করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ১০ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গত কয়েক দিনে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এই দু’টি ওয়ার্ডকে কেন গণ্ডিবদ্ধ করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে সুচিত্রা মণ্ডল, বিমল মণ্ডলরা বলেন, “এলাকায় অনেকেরই করোনা হয়েছে শুনছি। এলাকায় লকডাউন করা উচিত ছিল। তা হলে অন্তত নিয়ন্ত্রণটা থাকত।” জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত ৭-৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক তালিকায় এই ওয়ার্ডকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে রাখাও হয়। সেই মতো পুলিশ প্রশাসন তোড়জোড় শুরু করে। কিন্তু পরে আর এই এলাকাকে কন্টেনমেন্ট করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা অম্লানকুসুম সরকার বলেন, “শুনেছি এখনও এলাকায় দু’জন অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। সে দিক থেকে দেখলে সতর্কতা
দরকার ছিল।”

Advertisement

ভাঙড় ১ ব্লকে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ জন। কিন্তু এই ব্লকে কোনও কন্টেনমেন্ট জ়োন নেই। ক্যানিং এক্সচেঞ্জ অফিস চত্বরে সম্প্রতি একজন করোনায় আক্রান্ত হলেও এই এলাকাকে কন্টেনমেন্ট ঘোষণা করা হয়নি।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সাগর চক্রবর্তী বলেন, “বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে।” যদিও সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, “জেলাশাসক, সিএমওএইচ-দের বদলে সরকার তৃণমূল নেতাদের দিয়ে এই তালিকা বানিয়েছে। ফলে এটাই হওয়া স্বাভাবিক। এ ভাবে লকডাউন করে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।”

—তথ্য সহায়তা: দিলীপ নস্কর, সামসুল হুদা, সমীরণ দাস, প্রসেনজিৎ সাহা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন