হাতে হাত, মিন্টু-রহিমা। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
বিরোধটা তৈরি হয়েছিল সেই বিধানসভা ভোটে দেগঙ্গা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হিসাবে রহিমা মণ্ডলের নাম ঘোষণার পর থেকে। রহিমা তখন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তিনি বনগাঁর বাসিন্দা। তাঁর নাম দেগঙ্গা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা মেনে নিতে পারেননি দলের ব্লক সভাপতি মিন্টু সাহাজি। ভোটে অবশ্য রহিমা জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও দু’জনের অনুগামীদের কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকেও ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
দুই নেতা-নেত্রীর মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলাতে এ বার পদক্ষেপ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। শনিবার দুপুরে দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের ডাকে বেড়াচাঁপায় একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সুব্রতবাবু ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধায়ক নির্মল ঘোষ প্রমুখ।
সভা শুরু আগে মঞ্চেই সুব্রতবাবু কাছে ডেকে নেন রহিমা ও মিন্টুকে। দু’জনের মধ্যে হাত মিলিয়ে দেন। এ দিনের সভার মুল লক্ষ্যও ছিল সেটা। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝি মিটিতে ফেলতে দেগঙ্গায় সভার আয়োজন করা হয়েছে।’’
পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘শত্রু (বিজেপি) যখন আমাদের আক্রমণ করে, তখন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করি। দেগঙ্গার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখানে দলের মধ্যে আর কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।’’
সভার পরে রহিমা বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। কোনও বিরোধ বুঝি না। দেগঙ্গার মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। তাঁদের জন্য কাজ করতে হবে।’’ অন্য দিকে, মিন্টুর কথায়, ‘‘আমরা কেউ দলের বাইরে নই। সুব্রতবাবু যা বলেছেন, তা নিশ্চয়ই আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’’
ভবিষ্যতে কী হয়, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকেরা।