যুবককে বাড়ি ফেরাল হ্যাম রেডিয়ো

হাসপাতাল ও রেডিয়ো ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষের বাড়ির নাম ভুটানি। তাঁর বাড়ি বিহারের বালিয়া এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৩
Share:

ফিরে-পাওয়া: বাবার সঙ্গে সন্তোষকুমার মাহাত (হলুদ গেঞ্জি)।— নিজস্ব চিত্র

হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা।

Advertisement

রবিবার দুপুরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছর আঠাশের সন্তোষকুমার মাহাতের কাছে আসেন তাঁর বাবা সোহন মাহাত। দিন কয়েক আগে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ ওই যুবকের বাড়ি ও পরিবারের লোকজনকে খুঁজে পান হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সদস্যেরা।

হাসপাতাল ও রেডিয়ো ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষের বাড়ির নাম ভুটানি। তাঁর বাড়ি বিহারের বালিয়া এলাকায়। তিন ভাইবোনের মধ্যে সন্তোষ বড়। তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। বাড়িতেই থাকতেন। কাজকর্ম বিশেষ করতেন না।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আট মাস আগে সন্তোষ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২০ নভেম্বর বনগাঁ জিআরপি সন্তোষকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে যায়। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাত বলেন, ‘‘যুবকের পায়ে ক্ষত ছিল। মানসিক অসুস্থতা ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরে এখন সুস্থ।’’

প্রথমে সন্তোষ নিজের নাম-ঠিকানা বলতে পারেননি। দিন কয়েক আগে সেই তথ্য দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ো ক্লাবকে জানায়। ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা বিহারের বালিয়া এলাকায় যুবকের পরিবারের খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, যুবকের পরিবার ওখানে এখন আর থাকেন না। থাকেন বেগুসরাইয়ে। সেখানে যুবকের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে ছেলেকে দেখানো হয়েছে। তিনি চিনতে পারেন।’’

এরপরেই ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রবিবার দুপুরে বিহার থেকে বনগাঁ হাসপাতালে পৌঁছন সোহান। দুপুরে সোহান ছেলেকে নিয়ে রওনা দেন। ছেলেকে আর কখনও চোখের আড়াল করবেন না বলে জানিয়ে গিয়েছেন বাবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন