—প্রতীকী চিত্র।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মার্কিন মধ্যস্থতায় তা সম্ভব হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক মহল আশা করছে। মঙ্গলবার সকালের পরে ইরানের দিক থেকে নতুন করে আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও হয়নি। এর ফলে আপাতত স্বস্তি মিলছে। গত কয়েকটা দিন দৈনন্দিন রুটিন পাল্টে গিয়েছিল। রাতে ঘুম উড়ে গিয়েছিল। সব সময়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছিল, কখন মোবাইলে সতর্কীকরণ মেসেজ আসবে। সাইরেন বাজবে। নিরাপদে আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। ইজ়রায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের যে প্লাস্টিক কারখানায় আমি কাজ করি, সেখান থেকে বুধবার আমাকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্রাম নিয়ে দিনটা কাটিয়েছি। কয়েকটা দিন যা ঝড় বয়ে গেল, তা বলে বোঝানো যাবে না। মনে হত, যে চারতলা ভবনে থাকি, সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়বে না তো? তবে ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করতেই হয়। কয়েক দিনে ইরান যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, তা যদি সব আছড়ে পড়ত, কতটা ভয়ঙ্কর পরিণতি হত— কল্পনা করাই সম্ভব নয়। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের শহরের উপর দিয়ে তেল আভিভের দিকে গিয়েছিল। আমাদের আকাশেই ধ্বংস করে ইজ়রায়েল সেনা। কয়েকটি অবশ্য তেল আভিভে গিয়ে পড়েছে। আমাদের এই শহরে প্রচুর বিদেশি কর্মসূত্রে থাকেন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময়ে এ দেশের নাগরিকেরা আমাদের ভরসা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে তেমন কোনও ভীতি দেখিনি। তবে যুদ্ধ কোনও দিন এত কাছ থেকে দেখতে হবে, তা ভাবিনি।
—অনুলিখন: সীমান্ত মৈত্র
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে