সোনারপুর

কিশোরী খুনে ধৃত ‘চেনা’ দুষ্কৃতী

সোনারপুরের কালীবাজার এলাকার লেনিননগরে একটি দরমার ঘর থেকে সোমবার উদ্ধার হয়েছিল এক কিশোরীর দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই রাতেই স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এলাকাবাসী এবং পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ধৃত অমিত রায় সমাজবিরোধী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:১৯
Share:

ধৃতের বাড়িতে ভাঙচুরের পরে। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র

সোনারপুরের কালীবাজার এলাকার লেনিননগরে একটি দরমার ঘর থেকে সোমবার উদ্ধার হয়েছিল এক কিশোরীর দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই রাতেই স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এলাকাবাসী এবং পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ধৃত অমিত রায় সমাজবিরোধী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, সে নিয়মিত মদের আসর বসাত। স্থানীয় মহিলাদের নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করা এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।

Advertisement

তবে পুলিশের কাছে অমিতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) সৈকত ঘোষ বলেন, ‘‘অমিতের বিরুদ্ধে কিছু নিদিষ্ট সূত্র ও তথ্য মিলেছে। ধৃতকে আরও জেরা করা হবে। যে ঘর থেকে কিশোরীর দেহ মিলেছিল, সেই ঘরটির ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হবে।’’

মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অমিতের বুকে ও পিঠের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড় রয়েছে। সাধারণত আত্মরক্ষার চেষ্টায় কেউ আঁচড়ালে যেমন ক্ষত হয়, তেমন ক্ষতই পাওয়া গিয়েছে। সোমবার অমিতের গতিবিধির বিষয়েও খোঁজ নিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, ওই কিশোরীকে খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। আবার এমনও হতে পারে, এক ব্যক্তিই নানা ভাবে যৌন হেনস্থা করেছে ওই কিশোরীকে। যা একাধিক ব্যক্তির অত্যাচারের সমান। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক অমিতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে কিশোরীর ঘর থেকে কিছুটা দূরে কয়েক জন মদের আসর বসিয়েছিল। সেখানে ছিল অমিতও। ওই কিশোরী বাড়ি লাগোয়া দরমা ঘেরা ঘরে পড়াশোনা করছিল। দরজা ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। কিন্তু বেড়া ভাঙার পরেও ওই কিশোরী কেন চিৎকার করল না, সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তাদের আরও সন্দেহ, কিশোরীর পরিচিত কেউই সে দিন ঘরে ঢুকেছিল। বিস্তারিত জানতে মদের আসরে থাকা সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement