এ যেন বাঘের ঘরেই ঘোগের বাসা! চুরি-ছিনতাই হলে সাধারণ মানুষ ছোটেন পুলিশের কাছে। কিন্তু খোদ পুলিশের কাছ থেকেই যদি টাকা ছিনিয়ে পালায় দুষ্কৃতী?
সে দুঃখ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল চিত্তরঞ্জন দাস। তিনি বলছেন, ‘‘ওই হতচ্ছাড়াদের কাছে মোটরবাইক ছিল। আমার কাছেও সাইকেলের জায়গায় বাইক থাকলে দেখিয়ে দিতাম পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের পরিণাম কী হয়!’’
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। ওই ঘটনার পরে চিত্তবাবু বেজার মুখে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় হানাও দেয়। কিন্তু, এ দিন রাত পর্যন্ত ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি। এমন ঘটনায় চরম অস্বস্তি পুলিশ মহলে।
চিত্তবাবু বলেন, ‘‘চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু রাস্তায় তখন লোকজন বেশি ছিল না। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছি। এর মধ্যেই এমন বিপত্তি।’’ পুলিশের দাবি, তারা কিছু সূত্র পেয়েছে। খুব শিগ্গির দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।