রাস্তা বেহাল। ঠিকমতো মেলে না পানীয় জল। বিদ্যুতের সমস্যাও রয়েছে। এই সব কিছু থেকে রেহাই পেতে ক্যানিং ২ ব্লকের বিধায়ক সওকত মোল্লা চিঠি দিলেন মৎস্য দফতরের মন্ত্রীকে।
এই ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তাম্বুলদহ ১, কালিকাতলা ও আঠারোবাঁকিতে বেশির ভাগ মৎস্যজীবীদের বাস। প্রায় ৪৫০টি পরিবারের মাছ ধরার আইনি ছাড়পত্রও আছে। এই সমস্ত মৎস্যজীবী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুতের সমস্যা দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে বলে এলাকার মানুষ জানালেন।
মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে লিখিত ভাবে কিছু জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটের সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এলাকায় এসে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
বিশেষ করে মৌখালি খেয়াঘাট থেকে কাকমারি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, দাহারানি হাটখোলা-গাজি পাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ও কাকমারি থেকে হরিণদহ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। যাতায়াতের অযোগ্যই বলা যায়। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয়নি।
সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দেউল ২, তাম্বুলদহ ২-সহ কয়েকটি এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের উদ্বোধন করেন। কিন্তু বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় ওই এলাকায় জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীকে অন্য জায়গা থেকে জল আনতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর পিয়াদা, সঞ্জয় সর্দার বলেন, ‘‘এলাকার সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ককে জানিয়েছি।’’
সমস্যার কথা স্বীকার করে সওকত বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে ওই এলাকায় বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি মৎস্য দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি বিষয়গুলি দেখার জন্য।’’ ক্যানিং মহকুমার বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই এলাকায় বিদ্যুতের কিছু সমস্যা রয়েছে ঠিকই। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।