শনিবার রাত ৯ টা। পরনে লুঙ্গি, গায়ে মলিন কালো গেঞ্জি পরা মাঝবয়সী ব্যাক্তিটি সটান ঢুকে পড়লেন ওসির ঘরে। বগলে প্লাস্টিকের থলে। তারমধ্যে সদ্যোজাত শিশুর দেহ। উত্তেজিত হয়ে ওই ব্যক্তি বলতে শুরু করেন, ‘‘বাবু ওকে ছাড়বেন না। ও আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে। আমি বারবার বারণ করলেও কথা কানে তোলেনি।’’
শনিবার রাতে গোটা ঘটনায় হতভম্ব ক্যানিং থানার ওসি সতীনাথ চট্টোরাজ। ওই ব্যক্তি তখনও বলে চলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী ছিল। ও বারবার চাইছিল বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলতে। আমি বারণ করেছিলাম। কিন্তু ও আমার কথা শুনল না। আমি কাজে বেরিয়ে যেতেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ খেয়ে বাচ্চাটাকে মেরে ফেলল।’’
পুলিশ মৃত শিশুর দেহ ক্যানিং হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যাক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দ’শেক আগে ক্যানিংঙের গোপালপুরের জমাদার পাড়ার বাসিন্দা তসলিমা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় রামামারির বাসিন্দা রাজু লস্করের। ওই দম্পত্তির চার সন্তান। পেশায় দিনমজুর রাজুর অভিযোগ, পঞ্চম সন্তানটিকে ভূমিষ্ঠ হতে দিতে চাননি স্ত্রী। ওষুধ খেয়ে মৃত সন্তান প্রসব করেছেন তিনি।