প্রতীকী ছবি।
বছর সত্তরের নিমাইচাঁদ বিশ্বাস পেশায় রিকশা চালক ছিলেন। কিন্তু বয়সের জন্য এখন আর নিয়মিত রিকশা চালাতে পারেন না। বাড়িতে স্ত্রী-ও অসুস্থ। ছেলে সামান্য কাজ করে। অভাবের সংসার। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি কোনও সরকারি ভাতা পান না। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার এমন অনেকেই দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। কিন্তু বিপিএল তালিকায় নাম না থাকায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই সমস্যা দূর করতে এ বার নিজস্ব তহবিল থেকে এমন পরিবারগুলিকে মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করল পুরসভা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপিএল তালিকায় নাম না থাকলে সরকারি ভাবে কাউকে বিধবা, বার্ধক্য বা প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া যায় না। কিন্তু এখন থেকে পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে মাসে ৩০০ টাকা করে এই পরিবারগুলিকে দেবে পুরসভা।
বৃহস্পতিবার পুরসভাতে এলাকার বয়স্ক মানুষের হাতে প্রথম মাসের টাকা তুলে দেন পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার। প্রবোধবাবু বলেন, ‘‘যাঁদের বিপিএল তালিকায় নাম নেই এমন ৭০ জন মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে প্রতি মাসে টাকা পৌঁছে দেওয়া যাবে।’’
প্রথম মাসের তিনশো টাকা পেয়ে খুশি নিমাইবাবু, গীতা কুণ্ডু, মন্টু কুণ্ডুর মতো মানুষ। গীতাদেবী বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়েকে লেখাপড়া শেখাচ্ছি। বিপিএল তালিকায় নাম নেই। তাই এত দিন কোনও ভাতা পেতাম না। এখন থেকে কিছু অন্তত পাব।’’