হেলমেট ছাড়া বাইক চালাব, ভাবতেই পারি না

প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার বাইক চালিয়ে ঘুরে এলাম লে-লাদাখ থেকে। এতটা রাস্তা বাইক চালাব, হেলমেট ছাড়া ভাবতেই পারি না। আমার মতো যাঁরা দূরপাল্লার মোটর বাইক অভিযানে যান, তাঁরা শুধু হেলমেট কেন, আরও বেশ কিছু জিনিসকে সঙ্গী করেই পথে নামেন।

Advertisement

সুমিতকুমার বসু (শিক্ষক, মোটর বাইকে দীর্ঘ অভিযানে বেরোন)

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৫
Share:

প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার বাইক চালিয়ে ঘুরে এলাম লে-লাদাখ থেকে। এতটা রাস্তা বাইক চালাব, হেলমেট ছাড়া ভাবতেই পারি না। আমার মতো যাঁরা দূরপাল্লার মোটর বাইক অভিযানে যান, তাঁরা শুধু হেলমেট কেন, আরও বেশ কিছু জিনিসকে সঙ্গী করেই পথে নামেন। যেমন নির্দিষ্ট ধরনের জ্যাকেট, গ্লাভস, জুতো ইত্যাদি।

Advertisement

আমি থাকি মফস্‌সল শহর বারাসতে। সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা বাইকে যাতায়াত করতে হয় স্কুলের পথে। সে ক্ষেত্রেও হেলমেট অবশ্যই পরি। আসলে এটা একটা অভ্যাস। এখন তো এমন হয়েছে, এলাকার পথঘাটে সামান্য দূরত্বেও হেলমেট ব্যবহার করি। কেউ না করলে চোখে পড়লে সাবধানও করি। মনে হয়, আইনের শাসন তো পরের কথা, নিজের সুরক্ষার জন্যই হেলমেট পরাটা খুবই জরুরি।

মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, হেলমেট না পরলে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল দেওয়া হবে না। এটা খুবই কার্যকর বলে মনে হয় আমার। হেলমেট পরার সুঅভ্যাস সকলের মধ্যে গড়ে তুলতে পারলে দুর্ঘটনা যে এড়ানো যাবে তা নয়, কিন্তু দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিঃসন্দেহে কমবে। সারা পৃথিবীর মানুষ রাস্তায় বাইক চালানোর সময়ে হেলমেট ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানেই দেখি হেলমেট নিয়ে এত সচেতনতার অভাব। আরে বাবা, সরকার তো আপনার ভালর জন্যই এই আইন করছে। এই সোজা-সাপটা কথাটা না বোঝার কী আছে! ক’দিন আগেই লে-লাদাখের অভিযান শেষ করে ফিরেছি। কানপুরের কাছে হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। গাড়ির ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ি। হেলমেট না থাকলে প্রাণটাই বেরিয়ে যেত। আমার মতো যাঁরা দূরপাল্লার ভ্রমণ করেন মোটর বাইকে, তাঁদের কাছে হেলমেটের গুরুত্ব সত্যি নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই। কিন্তু যাঁরা ছোট শহরের ভিতরের রাস্তায় বাইক চালান, তাঁরাও এ ব্যাপারে সচেতন হোন— এটা চাই। সরকারের পদক্ষেপকে নিঃসন্দেহে স্বাগত জানাচ্ছি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement