Marriage

বিয়েতে আপত্তি, নতুন জামাইকে মার

জবার বাড়ি থেকে বিয়েতে আপত্তি থাকায় বুধবার সকালে তাঁরা পালিয়ে বাগদার মশ্যমপুর গ্রামে প্রতাপের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বিয়ে হয় সেখানেই। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাগদা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৯
Share:

প্রহৃত: প্রতাপ মান্না— ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

বিয়েতে আপত্তি ছিল মেয়ের বাড়ির। পালিয়ে গিয়ে ছেলেটির এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠে সেখানেই বিয়ে করেন দু’জন। খবর পেয়ে দুই বাড়ি থেকেই আত্মীয়েরা বিয়ে মেনে নিয়ে নবদম্পতিকে ফিরিয়ে আনতে যান। কিন্তু ফিরে এসে মেয়ের বাড়ির লোকজনেরা ছেলেটিকে মারধর করে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার রণঘাট পঞ্চায়েতের কুলিয়া গ্রামে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলিয়া গ্রামের প্রতাপ মান্নার সঙ্গে ওই গ্রামেরই মাধব বাগের মেয়ে জবার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রতাপ সেন্টারিংয়ের কাজ করেন। দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক বলে প্রতাপের বাবা মহেন্দ্রবাবুর দাবি। জবার বাড়ি থেকে বিয়েতে আপত্তি থাকায় বুধবার সকালে তাঁরা পালিয়ে বাগদার মশ্যমপুর গ্রামে প্রতাপের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বিয়ে হয় সেখানেই।

বিয়ের খবর পেয়ে জবার বাড়ির লোকজন মহেন্দ্রবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, তাঁরা বিয়েটা মেনে নিচ্ছেন। মেয়ে-জামাইকে ফিরিয়ে আনতে যেতে চান। সেই মতো বুধবার দুপুরে একটি গাড়িতে মহেন্দ্র ও তাঁর দুই বৌদি ও মেয়ের বাড়ির লোকজন মশ্যমপুরে যান। ছেলে-বৌমাকে নিয়ে সন্ধ্যার পরে বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামেন মহেন্দ্র। কিন্তু প্রতাপ ও জবা নামার আগেই চালক হঠাৎ গাড়ি ছেড়ে দেয়। গাড়ির মধ্যেই প্রতাপকে মেয়ের বাড়ির লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রায় চারশো মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে।

Advertisement

মহেন্দ্র বলেন, ‘‘ছেলেকে গাড়ি থেকে ফেলে দিতে দেখে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রতাপকে বাগদা হাসপাতালে নিয়ে যাই। বৌমাকে গাড়িতে নিয়ে ওরা চলে গিয়েছে।’’ রাতে বাগদা থানায় মাধব বাগের ছেলে ও ভায়রা-সহ ছ’জনের নামে অভিযোগ জানান মহেন্দ্র। প্রতাপের মা প্রতিমা মান্না বলেন, ‘‘ওরা প্রাপ্তবয়স্ক। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে বাধা দেওয়া যায় না। আমি ছেলে-বৌমাকে নিয়ে সংসার করতে চাই। তবে আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তারা যেন কঠিন শাস্তি পায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন