ভাসমান: সাহেবখালি নদীতে নতুন ভেসেল। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনের মানুষের কথা মাথায় রেখে হিঙ্গলগঞ্জের নেবুখালি ও দুলদুলির মধ্যে সাহেবখালি নদীতে শুরু হল ভেসেল পরিষেবা। এক সঙ্গে ১০-১২টি গাড়ি পারাপার-সহ শতাধিক যাত্রী ভেসেলে যেতে পারবেন। সোমবার উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদীপ মণ্ডল প্রমুখ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহেবখালি নদী পারাপারের জন্য এই নিয়ে বাম ও ডান আমলে তিন বার সেতুর শিলান্যাস, তিন বার ভেসেল উদ্বোধন এবং বেশ কয়েকবার সেতু তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সে কারণে সুন্দরবন এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। গ্রামের মানুষ শিলান্যাসের ফলক উপড়ে ফেলে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এ বার ভেসেলটি উদ্বোধন হওয়ায় সুন্দরবন এলাকার মানুষের সুবিধা হবে বলে জানান বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘সাহেবখালি নদীতে খুব শীঘ্রই সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তোড়জোড় শুরু করেছেন। কোন এলাকা দিয়ে সেতুর কাজ শুরু হবে, সেখানকার মাটি কেমন, তার নমুনা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা সংগ্রহ করেছেন।’’
আপাতত সপ্তাহে পাঁচ দিন অর্থাৎ মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ছাড়া সব দিন ভেসেলটি চলবে বলে জানান বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো যে ভেসেলটি ছিল সেটি যেমন কমজোরি ছিল, তেমনি ৩-৪টির বেশি গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেত না। নতুন ভেসেলের ইঞ্জিনের শক্তি বেশি। ফলে দ্রুত নদী পারাপার করা ছাড়াও এক সঙ্গে ১০-১২টি গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। বহু মানুষ তাতে উঠতে পারবেন।’’ এখন পাঁচ দিন চালানো হলেও পরবর্তিতে ভেসেলটি সাত দিনই চলবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।