রেললাইনে শব্দবাজি নয়, বোঝাল জিআরপি

বুধবার বনগাঁ জিআরপি থানার ওসি দীপক পাইকের নেতৃত্ব পুলিশ কর্মীরা রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি বোঝান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:০১
Share:

—ফাইল ছবি

রেললাইনে শব্দ বাজি না ফাটানোর জন্য সচেতনতা কর্মসূচি পালন করল জিআরপি। বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় প্রতি বছর কালীপুজোর সময়ে রেললাইনে শব্দবাজি ফাটানো হয়। বিশেষ করে বনগাঁ থেকে বামনগাছি পর্যন্ত রেলপথে এমন ঘটনা ঘটে। এমন হলে যাত্রীরা জখম হতে পারেন। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ওই প্রবণতা বন্ধ করতে এ বার আগেভাগে পদক্ষেপ করল বনগাঁ জিআরপি।বুধবার বনগাঁ জিআরপি থানার ওসি দীপক পাইকের নেতৃত্ব পুলিশ কর্মীরা রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি বোঝান। বোঝানো হয়, রেললাইনে এ ভাবে বাজি ফাটানো বেআইনি। যাত্রীরা জখম হতে পারেন। লাইনের ক্ষতি হতে পারে। তার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। ফ্লেক্স, ব্যানার, পোস্টার নিয়ে পুলিশ কর্মীরা এ দিন পথে নামেন। সঙ্গে ছিল হ্যান্ড মাইক। বনগাঁ প্ল্যাটফর্মে রেলযাত্রীদের মধ্যেও প্রচার চলে। সম্প্রতি বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেনের ধাক্কায় একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। লাইনের পাশে বসে অনেকেই গল্প করেন। জামাকাপড় শুকোতে দেন। শিশুরা দৌড়াদৌড়ি করে। কিন্তু বাড়ির লোক সে ভাবে নজর দেন না—এ সব নিয়েও এ দিন জিআরপি-র তরফে লাইনের ধারে থাকা মানুষদের বোঝানো হয়েছে। রেললাইনের ধারের বয়স্ক মানুষেরও মুহূর্তের অসতর্কতায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কিছু দিন আগে মোবাইল নিয়ে লাইনের পাশে গল্প করার সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি ওই শাখায় ট্রেনযাত্রীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন যাত্রীরা। ওই প্রবণতা বন্ধ করতেও জিআরপির তরফে সচেতন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন