ভাঙা জেটিঘাট। নিজস্ব চিত্র
সারাদিনে একটি মাত্র নৌকা। তাতেই চলে যাত্রী পারাপার। নদী পেরোতে তাই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা।
বাসন্তীর মসজিদবাটি ও চণ্ডীপুরের মাঝে কর্তাল নদী। এই নদী পেরিয়েই দু’পারের মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, এই দুই জায়গার খেয়াঘাটের মধ্যে সারাদিন ধরে নদী পারাপার করে একটি মাত্র নৌকা। চণ্ডীপুরের পাশের দু’টি গ্রাম বটতলি ও বিপ্রদাসপুরের অনেক মানুষও এই ঘাটের উপরই নির্ভরশীল। প্রতিদিন বহু মানুষ খেয়া পেরিয়ে মসজিদবাটি এসে সেখান থেকে বাসে ক্যানিং-সহ শহর ও শহরতলিতে যান। কিন্তু নদী পেরনোর জন্য যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার পর খেয়া নৌকা ঠিকমতো পাওয়াও যায় না। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন জেটিঘাটের কোনও সংস্কার হয়নি। অধিকাংশ জায়গায় তা ভেঙে গিয়েছে। তা ছাড়া ভাটার সময়ে জলস্তর নেমে গেলে নৌকা ঘাটে ভিড়তে পারে না। যাত্রীদের কাদায় নামতে হয়। তার উপর দু’পারের ঘাটে কোনও আলো নেই। অধিকাংশ সময়েই অন্ধকারে ভাঙা ঘাট দিয়ে যেতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান যাত্রীরা।
নিত্যযাত্রীদের আরও অভিযোগ, একটি খেয়া নৌকা, এদিকে কোনও পারেই নেই কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয়। ফলে দীর্ঘক্ষণ নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মাঝি বলেন, ‘‘সুন্দরবনের নদীবেষ্টিত এই সব এলাকায় খেয়া পারাপার রীতিমতো সমস্যার। অথচ যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে খেয়া পরিষেবার কোনও উন্নতিও করা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।’’
এ বিষয়ে বাসন্তী ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এমন সমস্যা নিয়ে তাঁকে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হব।’’