ঝুলতে-ঝুলতে: ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
শহর কিংবা গ্রাম, জাতীয় কিংবা রাজ্য সড়ক— চতুর্দিকেই দেখা যাবে, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে চলেছে দু’চাকা থেকে চার চাকার গাড়ি। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশাপাশি অলিগলিতেও সতর্কতামূলক পোস্টার দেওয়া রয়েছে। কিন্তু তা মানেন না অধিকাংশ গাড়ির চালক। যার মাসুল গুণতে হয় প্রাণ দিয়ে বা হাত-পা ভেঙে। এ বার তাই মানুষকে সচেতন করতে হাবরা থানার পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশ মছলন্দপুর থেকে একটি অটো ও হাবরা শহর এলাকা থেকে ছোট চার চাকার গাড়ি পুলিশ আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’টি গাড়ির চালকেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অটোতে ১৩ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। কয়েকজন ঝুলেও যাচ্ছিলেন। অন্য গাড়িতেও যাত্রীরা ঝুলতে ঝুলতে যাচ্ছিলেন। হাবরার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।’’
এ নিয়ে মানুষের মধ্যেও সচেতনতার অভাব আছে। কেন তাঁরা দাঁড়িয়ে বা ঝুলে যাচ্ছেন? প্রশ্ন করায় এক মহিলা বললেন, ‘‘বাড়ি ফেরার তাড়া আছে।’’ এ ভাবে চললে তো পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে? প্রশ্ন শুনে চুপ করে থাকলেন মহিলা।
তবে সকলেই যে গাদাগাদি করে বা ঝুলে অটো, ট্রেকার বা অন্য গাড়িতে যেতে পছন্দ করেন, তা নয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে কেন, বলতে গেলেই চালকেরা দুর্ব্যবহার করেন। বলেন, ‘‘ইচ্ছে হলে উঠুন, না হলে নেমে যান।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চালকেরা। তাঁদের দাবি, ‘‘আমরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালাই। অনেক সময় যাত্রীদের চাপে নিয়ম ভাঙতে হয়।’’
পুলিশের অভিযানে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও তাঁদের দাবি, ‘‘অভিযান যেন দু’দিন পরে থেমে না যায়।’’
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘হাবরা থানা এলাকায় বেআইনি অটো ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলা যানবাহনের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’