বাড়তি: অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই অটো। বারাসতের চাঁপাডালির মোড়ে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
অটোয় চার জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। নিয়ম ভাঙলে বাতিল করা হবে সেই অটোরিকশা। কিন্তু এই নিয়ম খাতায়-কলমে। আর তা ভেঙে অটোয় ছ’জন করে যাত্রী তোলার অভিযোগ উঠছে বারাসতের চাঁপাডালি এলাকার অটোর বিরুদ্ধে।
মাস কয়েক আগে চার জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না এই বিধি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছিল উত্তর ২৪ পরগনা পরিবহণ দফতর। পুলিশের তরফ থেকে ধড়পাকড়ও চলছিল। শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের ডেকে সতর্ক করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিছু দিন মানাও হয়েছিল। ফের শুরু অনিয়ম। চাঁপাডালি থেকে এগিয়ে এক-দু’জন যাত্রী তোলা হচ্ছিল। এখন সামনে তিন জন যাত্রী নেওয়া রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে।
একের পর এক দুর্ঘটনার পরেও হেলদোল নেই অটোরিকশা চালক ও প্রশাসনের। চাঁপাডালি মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, পিছনে ও সামনে তিন জন করে মোট ছ’জন যাত্রী তুলছে অটো। কোনও অটো স্ট্যান্ড থেকে এগিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে। অভিযোগ বারাসতের পুলিশ, ট্র্যাফিক ও গ্রিন পুলিশের সামনেই চলছে বেনিয়ম।
প্রতি দিন চাঁপাডালি-টাকি রোডে প্রায় শ-দু’য়েক অটো চলে। চাঁপাডালি-যশোর রোডে ন’টি রুটে প্রায় ৫০০ অটো চলে। অভিযোগ, যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে চালকের দুর্ব্যবহার জোটে। অসুবিধা হলে যাত্রীদের নামতে চাপ দেওয়া হয়। যাত্রীদের প্রশ্ন, যাব কোথায়? প্রায় সব অটোচালকই একই পথে হাঁটছেন। এক মহিলা যাত্রী জানান, চালকের পাশে আরও তিন জন গুঁতোগুতি করে বসলে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা হয়। তখন সামনে বসতে না চাইলে কটূক্তি করেন চালকেরা।
কী বলছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা? চাঁপাডালি মোড় অটো অপারেটার্স ইউনিয়নের সম্পাদক চন্দন মোদক বলেন, ‘‘অটোতে বেশি যাত্রী না তোলার ব্যাপারে চালকদের সম্প্রতি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ফের নজরদারিও শুরু করছি।’’
বারাসত যশোর রোড অটো অপারেটার্স ইউনিয়নের সম্পাদক গোপাল কাঞ্জিলাল বলেন, ‘‘সামনে তিন জন যাত্রী যাতে না তোলা হয় তা অবিলম্বে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছে দুই সংগঠন।
অতিরিক্ত যাত্রী তোলা নিয়ে কড়া নজরদারি ফের শুরু হবে বলে জানান উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি, চার জনের বেশি যাত্রী তুলবে যে অটো তার নম্বর পুলিশকে জানালে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।