আকবর গাজি
নিউটাউনে কেষ্টপুর খালের ধারে এক মহিলার পচাগলা ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনার ষোলো দিনের মাথায়, শনিবার রাতে মূলচক্রী সন্দেহে মিনাখাঁর কুমারজোল পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আকবর গাজিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিউটাউনের সাপুরজি বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে তাঁকে ধরা হয়। রবিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে আকবরকে ৮ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৪ তারিখ কুমারজোল গ্রামের বাসিন্দা রুমা মণ্ডলের দেহ মেলে। আকবর-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছিল পরিবার। রুমা বসিরহাটে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন। ৩ মে সকালে বাড়ি থেকে বেরোন। পরে তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। পর দিন ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে।
পরিবারের অভিযোগ, আকবর ও তাঁর স্ত্রী নাজমা বিবি রুমাকে কিছু দিন ধরে উত্যক্ত করছিলেন রুমাকে। আকবরের দুই ছেলে ও তাঁদের এক বন্ধুও নজরদারি চালাতেন রুমার পরিবারের উপরে। এর আগে আকবর রুমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল বলে অভিযোগ। বিবাহিতা ওই তরুণী তাতে রাজি না হওয়ায় খুনের হুমকি দেন আকবর, এমনই অভিযোগ রুমার পরিবারের। অ্যাসিড ঢেলে মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
রুমার স্বামী তাপস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের কাজ করেন। তাঁর দু’টি বিয়ে। তিন মেয়েকে নিয়ে প্রথম পক্ষের স্ত্রী রুমা থাকতেন কুমারজোলে। অন্য স্ত্রী থাকেন বসিরহাটে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রুমার স্বামীর বন্ধু আকবর। তাপসের অনুপস্থিতির সুযোগে আকবর মাঝে মধ্যেই রুমার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তখনই কুপ্রস্তাব দেন আকবর, অভিযোগ এমনই। আকবরের কাকা সাহারুল গাজির দাবি, ‘‘ভাইপো কিংবা তাঁর পরিবার এতে যুক্ত নয়।’’ দলীয় নেতা তথা একজন পঞ্চায়েত সদস্য খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এক নেতার কথায়, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে অপরাধী শাস্তি পাবে।’’