Jetty Ghat Sinking

নদীর গ্রাসে ডুবছে জেটিঘাট, আতঙ্কগ্রস্ত নৌকো যাত্রীরা

সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের সামসেরনগর, হেমনগর, কালীতলা-সহ চারটি অঞ্চলের প্রায় চল্লিশটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র ভরসা দুলদুলি জেটিঘাট।

Advertisement

নির্মল বসু 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৯
Share:

ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে জেটিঘাট। নিজস্ব চিত্র।

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল জেটিঘাট যে কোনও সময়ে তলিয়ে যেতে পারে নদীতে। আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। জেটিঘাটটির অস্ত্বিত্ব হারালে সমস্যায় পড়তে হবে যাত্রীদের।

Advertisement

সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের সামসেরনগর, হেমনগর, কালীতলা-সহ চারটি অঞ্চলের প্রায় চল্লিশটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র ভরসা দুলদুলি জেটিঘাট। এই জেটিঘাট ছাড়া সুন্দরবনের চারটি এলাকার মানুষের আর কোনও বিকল্প জেটিঘাট নেই। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, থানায় যাওয়ার জন্য এই জেটিঘাট পেরোতে হয়। সম্প্রতি জেটিঘাটের তলা দিয়ে ধসে গিয়েছে মাটি। এখন ভাসমান এই জেটিঘাটের প্রধান দু’টি খুঁটির তলা থেকে সরে গিয়েছে মাটি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পাইলিং করা হলেও জলের স্রোতে তা ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। নদীতে জোয়ার এলেই একটু একটু করে জেটির প্রধান দু’টি খুঁটির নীচ থেকে সরে যাচ্ছে মাটি। আলগা হয়ে যাচ্ছে নদীর কিনারায় পুঁতে রাখা জেটিঘাটের দু’টি খুঁটিও। যে কোনও সময়ে মাটি আলগা হয়ে সরে গিয়ে পুরো জেটি তলিয়ে যেতে পারে সাহেবখালি নদীতে। এমনই আশঙ্কা করছেন মানুষজন।

এই জেটিঘাট দিয়ে রোজ কয়েক হাজার মানুষ নৌকোয় যাতায়াত করেন। বেহাল জেটিঘাটের কথা স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানোর হয়েছিল। তখন নামমাত্র পাইলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ওই সাময়িক ব্যবস্থা ভাঙন রোধের পক্ষে একেবারেই অনুপযোগী, এমনটাই দাবি নৌকো যাত্রীদের। প্রদীপ রায়, সুরজিৎ মণ্ডলদের মতো যাত্রীরা জানালেন, সমস্যার কথা পঞ্চায়েত-প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অবিলম্বে জেটিঘাটের চারিদিকে লোহার খাঁচা দিয়ে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন রোধ করা দরকার। জেটি তলিয়ে গেলে পারাপার বন্ধ হয়ে যাবে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি সেচ ও পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শীঘ্রই সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন