এ ভাবেই বিক্রি হচ্ছে পেখম।—নিজস্ব চিত্র।
কথিত আছে, বাহন ময়ূরের পিঠে চড়ে স্বর্গ থেকে মর্তে মামার বাড়িতে আসেন কার্তিক। মাটি দিয়ে তৈরি হলেও ময়ূরের পুচ্ছে আসল পেখম ব্যবহারের রীতি ছিল। সেই পেখম জোগাড় করতে গিয়ে এক সময় ময়ূর মারা হত নির্বিচারে। এক সময়ে পেখম বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ময়ূরের পেখম লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি বন্ধ হয়নি। পুজো আসতেই খোলাবাজারে পেখম বিক্রি করা হচ্ছে জানালেন বসিরহাট শহরের বাসিন্দারা।
মাছ ধরার ফাতনা হিসাবে পেখমের সাদা অংশ কিনতে পাওয়া যায়। প্রতিমা শিল্পী, ওয়ার্ক এডুকেশনের খাতায় লাগানোর জন্যও অনেক পড়ুয়া ময়ূরের পেখম কেনে। আবার অনেকে আছেন, ঘর সাজানোর জন্যও ময়ূরের পেখম সংগ্রহ করেনন।
সম্প্রতি বসিরহাট টাউন এলাকায় এক ফেরিওয়ালাকে ময়ূরের পেখম বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। এক একটি পেখম ১০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন ওই ফেরিওয়ালা। পেখম বিক্রি যে বেআইনি, সে কথা জানেন বয়স্ক ফেরিওয়ালা। বললেন, ‘‘এক একটি পেখম ৬ টাকায় কলকাতার বড়বাজার থেকে কিনি। দু’টো পয়সার জন্য বিক্রি করি। বড়বাজারে তো একশো পেখম ৫-৬ শো টাকায় ঢেলে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে যখন পুলিশ হানা দিচ্ছে না, তখন আমাদের মতো গরিব ব্যবসায়ীকে বলে লাভ আছে?’’
কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।
বসিরহাট মহকুমার এক বনাধিকারিক জানান, কোথা থেকে এত ময়ূরের পেখম আনা হচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপর মহলে জানানো হবে।