দুর্ভোগ বাসন্তীতে

বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই চলে যাতায়াত

দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি রাস্তা। পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। খানাখন্দ পথ। গর্ততে বৃষ্টির জল জমে ডোবার আকার নিয়েছে। এর মধ্যে দিয়েই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসন্তী ব্লকের মানুষকে। ফলে প্রায়শই পড়ে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বাসন্তী বাজার থেকে গঙ্গামেলা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরি হয়েছিল প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা।

Advertisement

সামসুল হুদা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৪৫
Share:

রাস্তায় জমে আছে জল। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি রাস্তা। পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। খানাখন্দ পথ। গর্ততে বৃষ্টির জল জমে ডোবার আকার নিয়েছে। এর মধ্যে দিয়েই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসন্তী ব্লকের মানুষকে। ফলে প্রায়শই পড়ে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বাসন্তী বাজার থেকে গঙ্গামেলা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরি হয়েছিল প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা। সেই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আবার সুন্দরবন হাইস্কুল মোড় থেকে ১ গরাণবোস জেটিঘাট পর্যন্ত সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের তৈরি প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তাটিও বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দু’টি সংস্কার না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। প্রশাসনেরও কোনও হুঁশ নেই।

মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দুটি যে খারাপ তা আমার নজরে এসেছে। আমি সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি অবিলম্বে রাস্তা দুটি সংস্কার করার জন্য। আশা করি রাস্তা দু’টির কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।’’ সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে যথাযত ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

এই দুটি রাস্তার উপরে রয়েছে বাসন্তী হাইস্কুল, মহেশপুর হাইস্কুল, মহেশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গরাণবোস জুনিয়ার হাই মাদ্রাসা, সমবায় ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিস। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত এই দুই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ওই রাস্তায় চলে ক্যানিং থেকে গঙ্গামেলা বাস, সোনাখালি থেকে গঙ্গামেলা অটো, ট্রেকার-সহ বিভিন্ন যানবাহন। রাস্তা খারাপের কারণে বিকেল ৪টা পর থেকে গঙ্গামেলা রুটের প্রায় সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই ওই রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ সর্দার, ইভানা সর্দাররা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হয়নি। ভাঙা রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন