—ফাইল চিত্র।
জগদ্দলে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের রেশ কাটেনি বুধবার দুপুর পর্যন্ত। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা এলাকায় টহল দিচ্ছে। প্রশাসন ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক সময়ে না ঢুকলে, আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বুধবার সকালে দেখা গেল, কাঁকিনাড়ার আর্যসমাজ এলাকায় রাস্তা কার্যত সুনসান। দোকান-বাজার বন্ধ। শুধু পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা টহল দিচ্ছে। এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “ভোট না মেটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় থাকুক। তা না হলে কে কখন কোথা থেকে আক্রমণ করবে, বলা যায় না।’’
মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় সভা করেন ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মদন মিত্র। সেই সভায় তিনি অর্জুনকে তীব্র আক্রমণ করেন। সভা শেষে তৃণমূল সমর্থকেরা অর্জুনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। সেই সময়ে উল্টো দিকের বিজেপি পার্টি অফিস থেকে জনাকয়েক যুবক এসে তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলে সমর্থকেরা এসে পড়লে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। শুরু হয় বোমাবাজি। অর্জুন ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়। তৃণমূলের সভামঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে পুলিশ, পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থ ভৌমিক বলেন, “অর্জুন সিংহ বুঝেছেন, ভাটপাড়ার মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বৃহস্পতিবার ওখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা। তা বানচাল করতে এবং বিজেপির পুরনো কর্মীদের কাছে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে তিনি নানা তাস খেলতে শুরু করেছেন।” অর্জুন বলেন, “আমি প্রাসঙ্গিক নাকি অপ্রাসঙ্গিক, সেটা ফলেই প্রমাণ হবে। আর আমি ঘটনাস্থলে না গেলে আরও বড় ঝামেলা হত। আমিই তা রুখেছি।”