ভাঙাচোরা সেতু। নিজস্ব চিত্র।
কংক্রিটের সেতুর জায়গায় জায়গায় খসে পড়ছে সিমেন্ট-বালি। রড বেরিয়ে পড়েছে। সেতুর চাঙড় খসে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে কোনও কোনও অংশে। যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
মগরাহাট ২ ব্লকের আমড়াতলা পঞ্চায়েতে জালাসি ও কামারপুকুর সংযোগ কেওড়াখালি খালের উপরে ওই সেতু সংস্কারের বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয় হয়নি বলে অভিযোগ। বিডিও অর্নিবাণ বসু বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে সেচ দফতরকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু করেনি। আবার বিষয়টি জানানো হবে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশ আগে ওই কংক্রিটের সেতু নির্মাণ হয়েছিল। সে ভাবেই চলছে। আর সারাই হয়নি। আর এ ভাবেই দিন দিন বিপজ্জনক হয়েছে সেতুর হাল।
অথচ ওই সেতু দিয়েই ধামুয়া দক্ষিণ, আমড়াতলা, নৈনান, পঞ্চায়েতের প্রায় ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন পারাপার করেন। মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে হলেও ভরসা ওই সেতু। প্রায় চারটি স্কুলের পড়়ুয়ারা এই সেতু দিয়েই পারাপার করে। কৃষিপ্রধান এলাকায় শাক-সব্জি মোটর ভ্যানে চাপিয়ে ওই সেতু দিয়েই বাজারে বিক্রির জন্য আসেন চাষিরা।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা মগরাহাট ২ পঞ্চায়েতে সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মণ নস্করের অভিযোগ, সেতুটি সংস্কার বা নতুন সেতুর দাবিতে গণ স্বাক্ষর-সহ সেচ দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরহা হচ্ছে না। ফলে বিপজ্জনক সেতুটি পার হতে গিয়ে যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।