প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যার শুরুতে কুকুরের দলের অমন চিৎকার এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও অচেনা। সেই চিৎকার শুনে অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে, কেউ একজন ছুটে পালাচ্ছে। পিছু-পিছু কুকুরের দল। ধরতে না পারলেও তাকে চিনে ফেলে তারই পাড়ার লোকেরা।
সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে স্বরূপনগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আকবর মণ্ডলকে। তার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে স্বরূপনগর থানা এলাকার ঘটনা। জখম নাবালিকাকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি আকবর মণ্ডলের। তোলাবাজি-সহ তার বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিয়োগ রয়েছে। বছর পাঁচেকের নাবালিকাটি তারই প্রতিবেশী। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে বাড়িতে একা রেখে তার মা গিয়েছিলেন বাজারে।
পুলিশ জানায়, বাজার থেকে বাড়ি ফিরে মা দেখেন বাড়িতে নেই শিশুটি। মেয়ের খোঁজে আশপাশের বাড়িতে যান। সেই সময়ে কুকুরের চিৎকার। রক্তাক্ত শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ির বারান্দায় ফেলে পালাচ্ছিল আকবর। কুকুরের চিৎকারে পাড়ার লোকেরা আকবরকে চিনে ফেলেন।
গ্রামের বাসিন্দারা আকবরের বাড়িতে হানা দেন। আকবরের বাবা বাবা রহিম মণ্ডল শিশুটিকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে শিশুটি অসুস্থতা বাড়তে এলাকার বাসিন্দারা ফের তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। আকবরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ এসে স্থানীয় হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় সীমান্ত টপকে ও পারে পালানোর চেষ্টা করছে আকবর। পালানোর সময়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।