খুন-ডাকাতি বাড়ছে, আসামি ধরা পড়ছে কই?

খুন-ডাকাতি, চুরির ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে না—এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বসিরহাটের মানুষের মধ্যে। 

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

খুন-ডাকাতি, চুরির ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে না—এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বসিরহাটের মানুষের মধ্যে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর রাতে বাদুড়িয়ার আড়বালিয়ায় বাড়িতে খুন হন পুষ্পরানি আড়তদার বলে এক মহিলা। বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর লক্ষাধিক টাকা এবং গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার পর দেড় মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় একজনও গ্রেফতার হয়নি।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মৃতার আত্মীয়-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, খুনের পর কখনও ওই মহিলার ছেলে, কখনও আত্মীয়, কখনও আবার তাঁর বন্ধুদের থানায় নিয়ে গিয়ে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement

তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতী ওই মহিলার পরিচিত। তা না হলে মহিলা চিৎকার করে লোক ডাকার চেষ্টা করতেন। তা ছাড়া শ্বাসরোধ করে কাউকে খুন করলে তিনি হাত পা ছুড়বেই। সে সময় ঘরের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বে। কিন্তু এখানে তা হয়নি। কারণ ঘর অগোছাল ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাই পুলিশের ধারণা, খুনি মহিলার পরিচিত। শুধু তাই নয়, ওই দিন খুনি একা ওই মহিলার বাড়িতে ঢোকেনি। সঙ্গে আরও কেউ ছিল।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে আতঙ্কে রয়েছেন আড়বালিয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘‘খুনি এখনও ধরা পড়েনি। তার মানে তো সে এখান ঘোরাঘুরি করছে। আবার যদি কারও ক্ষতি করে?’’

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার বাড়িতে মার্বেলের কাজ করা মিস্ত্রি ছাড়াও প্রতিবেশী এবং নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে যে বা যারা খুনের ঘটনায় জড়িত, খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

মিনাখাঁর নেরুলিতে একটি ইটভাটার শ্রমিক শ্রীকান্ত মণ্ডল ওরফে করিমকে বিকেলবেলায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীরা। বসিরহাট স্টেশনের পাশে গোডাউনপাড়ায় বাড়ি শ্রীকান্তের। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে গোডাউনপাড়ায় বাড়ি এক গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা পুরনো রাগ মেটাতে শ্রীকান্তকে খুন করে। এই ঘটনার পর থেকে বসিরহাট জেলার পুলিশকর্তারা মহকুমার বিভিন্ন থানার ওসিদের নিয়ে একটি দল করে গোডাউনপাড়া-সহ আশপাশের এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালায়। তিন দিন ধরে অভিযান চলে। কিন্তু এখনও কেউ ধরা পড়েনি।

শুধু ডাকাতি কিংবা খুন নয়, সম্প্রতি একদল দুষ্কৃতী বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে চুরি-ছিনতাই চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বসিরহাটের ধলতিথায় জেলা পুলিশকর্তার বাংলোর পাশে বসু বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। তারও কোনও সমাধান হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বসিরহাট পুলিশ জে‌লা করা হলেও দুষ্কৃতীর উপদ্রব কমছে না। রাস্তায় বেরিয়েও ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন