দুই জেলা জুড়ে অবরোধে নাকাল যাত্রীরা 

রবিবার রাত এবং সোমবার দিনভর উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অবরোধ-বিক্ষোভ-মিছিলের জেরে নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষকে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৪
Share:

অবরোধ: ঘোড়াবাস স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।

ধর্নায় বসে রবিবার রাতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, যাতে তাঁদের আন্দোলনের জেরে সাধারণ মানুষকে নাকাল না হতে হয়। কিন্তু রবিবার রাত এবং সোমবার দিনভর উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অবরোধ-বিক্ষোভ-মিছিলের জেরে নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষকে।

Advertisement

কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই-হানার চেষ্টার প্রতিবাদে কোথাও রেল, কোথাও সড়ক অবরোধ হল। তা ছাড়া শাসক দলের কর্মসূচিতে ছিল মিছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো।

এর ফলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, বসিরহাট, বারাসত, জয়নগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়। ব্যারাকপুরে ট্রেনলাইনে টায়ার জ্বালিয়ে রেল অবরোধ করা হয়। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বসিরহাটের মাটিয়াতে টাকি রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় যানবাহন আটকে পড়ে। আধঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

অবরোধকারীদের সরে যেতে বলা হলেও তাতে কাজ হয়নি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যান-জটলা। রাস্তার দু’দিকেই বাড়তে থাকে বাস-লরি-ছোট গাড়ির সারি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আটকে পড়ে স্কুলবাসও। নাকাল হতে হয় কলেজ এবং অফিস যাত্রীদের। ঘণ্টাদুয়েক অবরোধ চলার পরে সরে যান অবরোধকারীরা।

দুপুর থেকে ব্যারাকপুরে মিছিল শুরু করেন অবরোধকারীরা। প্রথমে মিছিল করে রেলস্টেশনের সামনে আসেন অবরোধকারীরা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। সেই সময় প্রায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। আটকে পড়ে প্রচুর যানবাহন।

এরই মধ্যে সওয়া তিনটে নাগাদ একদল লোক তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে ব্যারাকপুর স্টেশনে হাজির হন। সেই সময়ে ডাউন লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি ট্রেন। তার ইঞ্জিনে চড়ে বসেন বিক্ষোভকারীরা। আর এক দল বিক্ষোভকারী ১৪ নম্বর রেলগেটের মাঝে লাইনের উপরে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। লাইনের উপরে আগুন দেখে আতঙ্ক তৈরি হয় প্লাটফর্ম এবং লাইন পারাপার করা যাত্রীদের। আধঘণ্টার ও বেশি সময় ধরে চলে অবরোধ। তার ফলে আপ এবং ডাউন লাউনে আটকে পড়ে ট্রেন। তার জেরে শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে লোকাল ট্রেন। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর জেরে শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় বেশ কিছু ট্রেন দেরিতে চলে।

বিকেল ৫ টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয় বারাসত-বনগাঁ লাইনের মছলন্দপুর স্টেশনে। প্রায় আধঘণ্টা চলে অবরোধ। গাইঘাটা ও বনগাঁতে মিছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। জয়নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন