Aadhar Card

আধার কার্ড সংশোধনে রাতভর লাইন

সোমবার সকালে ডাকঘরের সামনে গিয়ে দেখা গেল, শতাধিক  মানুষের ভিড়। বসিরহাটের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে নতুন আধার কার্ড করাতে বা সংশোধন করাতে এসেছেন মানুষ।

Advertisement

নবেন্দু ঘোষ

ন্যাজাট শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৫
Share:

প্রতীক্ষা : ডাকঘরে আধার কার্ড সংশোধনে দেখা যাচ্ছে এমনই লম্বা লাইন। নিজস্ব চিত্র

ডাকঘরে সকালে থেকে শুরু হচ্ছে আধার কার্ড সংশোধনের আবেদন নেওয়ার কাজ। কিন্তু সকালে এলে ভিড়ের চাপে সে দিন আর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই আগের দিন রাত থেকে ডাকঘরের সামনে লাইন পড়ছে। শীতের রাতে খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করছেন বাচ্চা থেকে বয়স্করা। ন্যাজাট ডাকঘর চত্বরে প্রায় রোজই চোখে পড়ছে এই ছবি।

Advertisement

সোমবার সকালে ডাকঘরের সামনে গিয়ে দেখা গেল, শতাধিক মানুষের ভিড়। বসিরহাটের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে নতুন আধার কার্ড করাতে বা সংশোধন করাতে এসেছেন মানুষ। মেয়ের জন্য নতুন আধার কার্ড করাতে আসা কালিনগরের বাসিন্দা সোমা সর্দার জানান, কার্ডের জন্য আবেদন করতে এর আগে তিন দিন এসেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী যাঁরা নতুন আধার কার্ড করানোর লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম ২০ জনকে ডেকে নেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা সংশোধন করতে আসছেন, তাঁদের লাইনের প্রথম থেকে ১৫ জনের তথ্য জমা নেওয়া হচ্ছে। সোমা কিছুতেই প্রথম ২০ জনের মধ্যে থাকতে পারছিলেন না। শেষে ঠিক করেন বাচ্চাকে নিয়ে আগের দিন রাতেই চলে আসবেন। সেই মতো রবিবার বিকেলে পোস্ট অফিসের সামনে চলে আসেন। সোমা বলেন, “ফাঁকা জায়গায় শীতের রাতে বাচ্চাকে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়েছে। সারা রাত মশার কামড়ে ছটফট করেছে বাচ্চা। তবে শেষ পর্যন্ত সকালে লাইনের প্রথমে দাঁড়াতে পারি। এ ভাবে রাতে না থাকলে আজও হত না।”

একই পরিস্থিতি হাসনাবাদের আবাদ খড়মপুর গ্রামের হামিদা মোল্লার। তিনি জানান, বৃদ্ধ শাশুড়ি-সহ তিন মহিলা বাচাচাদের আধার কার্ড করাতে এসে তিন দিন ফিরে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে পোস্ট অফিসের সামনে লাইন দিয়েছেন সোমবারের জন্য। হামিদা বলেন, “আধার কার্ড করতে এমন ভোগান্তি পোহাতে হবে ভাবিনি।”

Advertisement

রাত থেকে লাইন দিয়েও অনেকের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সন্দেশখালি থানার কোরাকাটি গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার সরকার কার্ড সংশোধন করাতে টানা কয়েকদিন সকালে আসেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় ফিরে যান। বাধ্য হয়ে রবিবার রাতে এসে লাইন দেন। ভেবেছিলেন সোমবার সকালে হয়তো কাজ মিটবে। তবে সুকুমার বলেন, “সকালে কিছু লোক এসে বলে, তাঁরা নাকি লাইনে ইঁট রেখে গিয়েছিলেন। তাই তাঁদের আগে দাঁড়াতে দিতে হবে। আজও কাজ মেটাতে পারলাম না।”

ডাকঘর সূত্রে খবর, প্রতিদিন শতাধিক মানুষ আধার কার্ডের সমস্যা নিয়ে আসছেন। এমনকী কলকাতা থেকেও কেউ কেউ আসছেন। পোস্ট মাস্টার দিলীপ কুমার সর্দার বলেন, “কর্মী ও পরিকাঠামো কম থাকায় দিনে ৩৫টার বেশি আবেদনের কাজ করা যাচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন