পুলিশের মোটরবাইক বাহিনী। ইনসেটে, ধৃত রবিউল মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
এ যেন চোর পুলিশের খেলা শুরু হয়েছে।
বসিরহাটে তৈরি পুলিশের মোটরবাইক বাহিনীর দাপটে এ বার তটস্থ দুষ্কৃতীরা। পর পর দু’দিনে দু’জন দুষ্কৃতী ধরল পুলিশের এই বাহিনী। সোমবার রাতে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে ঘোজাডাঙা সীমান্ত থেকে রবিউল মণ্ডল ওরফে বাপ্পা নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার বাড়ি খোলাপোতার মথুরাপুরে। ধৃতের কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা এবং গুলি-সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বসিরহাটে চুরি-ছিনতাই রুখতে পুলিশের উদ্যোগে ১০ জনের একটি মোটরবাইক বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। রবিবার রাতে ওই বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে চাঁপাপুকুরের কাটিয়ারবাগ গ্রামের বাসিন্দা মোকসেদ আলি সর্দার ওরফে বাবু। সে পুলিশের গাড়ির চালক ছিল। ছিনতাই দলের মূল পাণ্ডা ছিল ওই যুবক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বসিরহাট শহরে চুরি এবং ছিনতাই বাড়ছিল। দুষ্কৃতীদের একটি দল প্রকাশ্যে রাস্তায় মহিলাদের কানের দুল, গলার হার, ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটরবাইকে করে পালাচ্ছিল। পুলিশ কিছুতেই ওই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারছিল না। বসিরহাট থানায় আইসি পদে যোগ দেওয়ার পরে দেবাশিস চক্রবর্তী মোটরবাইক দুষ্কৃতীদের ধরতে পাল্টা পুলিশকর্মীদের নিয়ে মোটরবাইক বাহিনী বের করেন। আর তাতেই মেলে সাফল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এক সূত্রে জানা যায়, মোকসেদ ধরা পড়ার পরে রবিউল তার সঙ্গীদের নিয়ে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিল। তবে তার আগে এক ব্যবসায়ীর টাকা লুঠ করবে রবিউল। এই খবর ছিল পুলিশের কাছে। পুলিশের ওই বাহিনী মাদক-সহ রবিউলকে ধরে। তবে তার অন্য সাগরেদরা পালিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।