উদ্ধার হওয়া গরু থাকবে কোথায়? বিপাকে পুলিশ

সম্প্রতি সীমান্ত এলাকাতে গরু পাচার বন্ধের নির্দেশ এসেছে বিএসএফের কাছে। এরপর থেকে প্রায় দিনই গরু ধরা পড়ছে সীমান্তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪২
Share:

পাহারায় বসে সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজস্ব চিত্র

রাত পাহারা দিয়ে দুষ্কৃতী ধরার পাশাপাশি বসিরহাট থানার পুলিশকে এখন গরু পাহারাও দিতে হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকাতে গরু পাচার বন্ধের নির্দেশ এসেছে বিএসএফের কাছে। এরপর থেকে প্রায় দিনই গরু ধরা পড়ছে সীমান্তে। ধরা গরু আনা হচ্ছে সীমান্ত লাগোয়া থানায়। বিএসএফ থেকে গরু ধরার পর এগুলি কার অধীনে থাকবে? এদের খাওয়ার খরচা কে দেবে? গরু মারা গেলে কিংবা পালিয়ে গেলে তার দায় কে নেবে—তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ।

ইতিমধ্যে পুলিশ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে, তাঁদের পক্ষে গরুর দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। এ দিকে বিএসএফও এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কারণ গরুগুলি উদ্ধারের পরেই তাঁরা তা পুলিশের কাছে জমা করে দিচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত, সীমান্তে ধরা গরুর দায়িত্ব নেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বসিরহাট সীমান্তে ধরা পড়া ২৭টি গরু নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিএসএফের দেওয়া গরুগুলি বসিরহাট থানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গরু রাখা এবং খাওয়ানোর দায়িত্ব কারা নেবে তা স্পষ্ট না হওয়ায় আপাতত খোঁয়াড়ে রেখে সব কাজ ফেলে গরু পাহারা দিতে হচ্ছে পুলিশকে। যা সম্ভব নয়।’’

পুলিশের দাবি, এক সময়ে সীমান্তে ধরা পড়া গরু নিজেদের হেফাজতে রেখে নিলামের দায়িত্ব নিত শুল্ক দফতর। এখন তাঁরা সেই দায়িত্ব নেয় না। এর ফলেই এই সমস্যার দেখা দিয়েছে।

শুধু বসিরহাট থানাই নয়, সীমান্ত লাগোয়া স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ এবং হেমনগর উপকূলবর্তী থানা এলাকাতেও ধরা পড়া গরু পুলিশ না রাখতে চাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সীমান্তরক্ষীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন