নজরদারি: কড়া বার্তা। ছবি: সুজিত দুয়ারি
সকাল বেলা হাবড়ার একটি পেট্রল পাম্পে বাইক নিয়ে হাজির দুই যুবক। কারও মাথায় হেলমেট নেই। পেট্রল চাইতেই এক কর্মী তাঁদের পেট্রল দিলেন। পিছন থেকে দু’জন পুলিশ এসে ওই কর্মীকে ধরে থানায় নিয়ে গেলেন। হেলমেট ছাড়া দুই যুবক আসলে হাবড়া থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। চক্ষু চড়কগাছ পেট্রল পাম্পের ওই কর্মীর।
মঙ্গলবার সকালে হাবড়া থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশের গোটা পাঁচেক দল একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে পেট্রল পাম্পগুলিতে অভিযান চালায়। পাম্প কর্তৃপক্ষ হেলমেট ছাড়া বাইক চালকদের পেট্রল দিচ্ছেন কিনা, সে দিকে নজরদারি চালানো হয়। দিন দু’য়েক আগে সংবাদপত্রে হেলমেট ছাড়া পেট্রল দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তারপরেই এই অভিযান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হেলমেট ছাড়া পাম্পগুলি পেট্রল দিচ্ছে কিনা, তা দেখতে হাবড়া থানার তরফে বিভিন্ন উপায়ে ধরপাকড় করা হয়। দেখা গেল পাম্পের কাছে সিভিক ভলান্টিয়াররা সাদা পোশাকে গিয়ে পাম্পের উপরে নজরদারি করেছেন। তাঁরা হেলমেট ছাড়া বাইক চালকদের পেট্রল দিতে দেখলেই দূরে অপেক্ষা করা পুলিশ কর্মীদের মোবাইলে ফোন করছেন। পুলিশ এসে হাতেনাতে পাকড়াও করেছেন পাম্প কর্মী ও হেলমেটহীন বাইক চালকদের। বছর দেড়েক আগে হাবড়া থানার তরফে পেট্রল পাম্পগুলিকে নোটিস দিয়ে জানানো হয়, হেলমেট ছাড়া বাইক চালকদের পেট্রল দেওয়া যাবে না। নজরদারিও চলেছে পরের কিছু দিন। সম্প্রতি পুলিশের নজরদারির অভাবে ফের কিছু পাম্প কর্তৃপক্ষ হেলমেট ছাড়া পেট্রল দেওয়া শুরু করেছিল। নতুন করে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। পরিস্থিতি বদলাবে বলেই আশা সাধারণ মানুষের।
পুলিশ জানিয়েছে, হেলমেট ছাড়া পেট্রল দেওয়া ও হেলমেট ছাড়া পেট্রল নেওয়ার অভিযোগে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে। আটক করা পাম্প কর্মীদের থানায় মুচলেকা লিখিয়ে তবে ছাড়া হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর হেলমেট ছাড়া কাউকে পেট্রল দেবেন না। হেলমেটহীন বাইক চালকদের থানা থেকে জামিন দেওয়া হয়েছে। মৈনাকবাবু বলেন, ‘‘পথ দুর্ঘটনা কমাতে এখন থেকে নিয়মিত পাম্পগুলিতে অভিযান চলবে।’’