পুজো দেব, মাকে বলে যায় সঞ্জু

হালিশহরের বালিভারার ভ্যান চালক বাবুল দাসের এই বাড়ি থেকে খুনের ঘটনা যে মাঠের পাশে ঘটেছে, তার দূরত্ব মেরেকেটে তিনশো মিটার। এক দিকে, ভাঙাচোরা পিচ ওঠা রাস্তা। পাশেই পুকুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বীজপুর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক কামরার বেড়ার ঘর। কংক্রিটের মেঝেতে ছড়ানো জিনিসপত্র। টালির চালে বর্ষার জল আটকাতে পিচ চটের আস্তরণ।

Advertisement

হালিশহরের বালিভারার ভ্যান চালক বাবুল দাসের এই বাড়ি থেকে খুনের ঘটনা যে মাঠের পাশে ঘটেছে, তার দূরত্ব মেরেকেটে তিনশো মিটার। এক দিকে, ভাঙাচোরা পিচ ওঠা রাস্তা। পাশেই পুকুর। রাস্তার ধারে ঘাস আর গাছের কাটা গুঁড়িতে চাপ চাপ রক্তের দাগ ছিল রবিবারও। বৃষ্টিতে খানিক ধুয়ে গিয়েছে। বাবুলের গলা কাটা দেহ পড়ে ছিল এখানেই।

আশেপাশে বাড়ি-ঘর আছে। তা হলে ঘটনার রাতে কেউ কিছু টের পাননি কেন, তা দেখে অবাক তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর অমিত দাস বাবুলের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকেন। তাঁর কথায়, ‘‘নেশা করলে বাড়িতে টুকটাক অশান্তি তো লেগে থাকেই। মাঝে মধ্যে বেশি নেশা করলে এখানে ওখানেও শুয়ে থাকত বাবুল। সে দিন পুকুর পাড়ে যে ভাবে পড়েছিল, তাতে প্রথমে বোঝা যায়নি। পরে পুলিশ এসে দেহ নিয়ে গেল।’’

Advertisement

যে খেলার মাঠে মদের আসর বসেছিল, সেখানে মাঝে মধ্যে নেশার আসর বসে। মাঠে ঘুরে দেখা গেল, দেশি মদের বোতল, গাঁজার কলকের ভাঙা অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় বলেন, ‘‘ওদিকটা অনেকটাই ফাঁকা এলাকা। সন্ধ্যার পরে আরও ফাঁকা হয়ে যায়। তবে কোনও গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনিনি।’’ ধৃতের মা মঞ্জু দাস বলেন, ‘‘ছেলে তারাপীঠে পুজো দিতে যাবে বলে বের হয়। কোনও ভাবে ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ও কখনও কাউকে কখনও মারধর করেছে, এমন অভিযোগ ওঠেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন