বর পৌঁছেছে। বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ। এমন সময়ে বিয়ের মণ্ডপে ঢুকল পুলিশ। সঙ্গে বিডিও এবং চাইল্ড লাইনের সদস্যেরা। প্রশাসনের তৎপরতায় বন্ধ হল বাল্যবিবাহ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর সীমান্ত-লাগোয়া আরশিকারি গ্রাম। ওই গ্রামের বাসিন্দা মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। স্থানীয় তারালি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ের ঠিক হয়েছিল সোমবার দুপুরে। বিয়েতে বেঁকে বসে নাবালিকা। তার সঙ্গীর কাছ থেকে খবর যায় চাইল্ড লাইনে। সেখান থেকে বিডিও এবং থানায় খবর দেওয়া হয়।
একই দিনে বাদুড়িয়ার ব্রুজ গ্রামে নবম শ্রেণির আরও এক নাবালিকার বিয়ের ঠিক হয়েছিল। চাইল্ড লাইন মারফত খবর পেয়ে বিডিও-র প্রতিনিধি এবং পুলিশ যায় বিবাহবাসরে। নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ বলে বোঝানো হয় দু’টি পরিবারকে। দুই পরিবারের তরফেই মুচলেকা দিয়ে জানানো হয়েছে, মেয়েরা সাবালিকা না হলে বিয়ে দেওয়া হবে না।