Heavy Rainfall

Depression: কটালের মধ্যেই আসছে ঘূর্ণাবর্ত, শুরু প্রস্তুতি

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৪৮
Share:

ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণাবর্তের জেরে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ায় নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে চলেছে। এর জেরে উপকূল এলাকায় ভাব পড়বে। সদ্য পূর্ণিমা গিয়েছে। পূর্ণিমার কটালের রেশ এখনও শেষ হয়নি। কটাল এবং ঘূর্ণাবর্ত মিলে রবিবার নাগাদ নদী ও সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কাকদ্বীপ মহকুমার চারটি ব্লকের আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতর, পূর্ত দফতর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পানীয় জল, শুকনো খাবার, রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। জল নেমে গেলে যাতে মহামারি না ছড়ায়, তার জন্য ব্লিচিং পাউডার মজুত রাখা হচ্ছে। সাপের কামড়ে যাতে কোনও দু্র্ঘটনা না হয়, সে কথা মাথায় রেখে ওষুধ ও চিকিৎসক দল মজুত রাখা হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রসূতিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হবে। কোভিড বিধি মানতে প্রচুর স্যানিটাইজার ও মাস্ক মজুত রাখা হবে।

ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে যাওয়া ট্রলার ঘাটে ফিরে আসার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নতুন করে কোনও ট্রলারকে সমুদ্রে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন ঘাটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাইকে প্রচার চলে। নদী লাগোয়া বিভিন্ন পঞ্চায়েতে প্রশাসনের আধিকারিকেরা পৌঁছে গিয়েছেন। মৌসুনির মতো নদী ঘেরা পঞ্চায়েতে দ্রুত যোগাযোগের জন্য স্পিড বোট মজুত রাখা হয়েছে।

Advertisement

ইয়াসে এই মহকুমার অধিকাংশ নদী ও সমুদ্র বাঁধ ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছেল। পরে প্রশাসনের তরফে বাঁধ মেরামত শুরু হয়। অভিযোগ, এখনও অনেক জায়গায় বাঁধ মেরামত হয়নি। তাছাড়া পরপর কটাল এবং সাম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে অনেক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও ধসও নেমেছে। আসন্ন দুর্যোগের আগে তড়িঘড়ি অনেক জায়গায় ভাঙা বা ধস নামা বাঁধ মেরামত শুরু করেছে প্রশাসন। মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দা বাবলু দাস বলেন, “ইয়াসের সবই চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই ফের দুর্যোগ আসছে। কটালে জল বাড়লেই এলাকায় নোনা জল ঢুকে পড়ছে। ঘুর্ণাবর্তের জেরে নদী ও সমুদ্রের জল অনেক বেড়ে যাবে। ফের নোনা জল এলাকায় প্লাবিত হতে পারে।”

কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করতে প্রচার চলছে। আগে থেকেই বাঁধ মেরামতি শুরু হওয়ায়, রবিরারের আগে বাঁধ সারানোর কাজ শেষ হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন