শেষ-বাজার: পুজোর আগে শেষ রবিবারের বাজার। কাঁচরাপাড়ায়। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
সদ্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের এক কিস্তি মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ঘোষণা হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। বেসরকারি অনেক সংস্থা বোনাসের নাম মুখে আনেনি পুজোর আগে। উল্টে পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) আঁচে ব্যবসায়ীদের হিসেব মেলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পুজোর আগে শেষ রবিবারে দোকানে দোকানে ভিড় দেখে ভিড় দেখে অবশ্য এ সব বোঝার উপায় নেই। যেন একটুকরো ধর্মতলা উঠে এসেছে। সদর শহর ব্যারাকপুর ছাড়াও সোদপুর, বেলঘরিয়া, টিটাগড়, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়ায় বড় বাজার রেডিমেড পোশাকের।
বহু নামী পোশাক সংস্থার শো-রুম আছে এ সব জায়গায়। সোদপুরের এমনই এক নামী পোশাক সংস্থার শো-রুমের বিক্রেতা কাজল বসু বলছেন, ‘‘বহু মানুষই ব্র্যান্ড পছন্দ করেন। দামের সঙ্গে সমঝোতা করেন না তাঁরা। রোজগার সেখানে অন্তরায় হয় না। মানসিকতাটাই আসল।’’
জিএসটি চালুর পরে কি ক্রেতার সংখ্যা কমেছে? একটি নামী জুতোর দোকানের কর্মী তারক দত্ত বলেন, ‘‘মোটেই নয়। যে হারে জনসংখ্যা বেড়েছে, তাতে দাম যতই বাড়ুক ক্রেতা কমার সম্ভাবনা নেই।’’ এ বার পুজোয় জুতোর নতুন ফ্যাশন ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট শ্যু। এক দিক সাদা ও অন্য দিক কালো, এই জুতো চামড়া ও ফোম দু’ধরনেই মিলছে। মেয়েদের ফ্যাশনে বাজার কেড়েছে বাজিরাও ও লং গাউন। ওয়েস্টার্ন লিনেন মিডি-ও বিকোচ্ছে দেদার। কাঁচরাপাড়ার একটি রেডিমেড পোশাকের দোকানের মালিক কাঞ্চন পোদ্দার বলেন, ‘‘বাজার খুবই ভাল। আমাদের এখানে আশপাস থেকে বহু ক্রেতা আসেন। পুজোর বাজারে জিএসটি, ডিএ, বোনাস কিছুরই প্রভাব পড়েনি।’’
নৈহাটির বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বারাসতের একটি স্কুলে পড়ান। তিনি বললেন, ‘‘পুজোয় ছুটি ছাড়া সরকারী কর্মীদের তো আর কিছু জোটেনি এ বার। কিন্তু পুজো মানে তো কিছু কেনাকাটা, আনন্দ-আয়োজন। সেখানে আর খরচের হিসেব করে কী হবে? খরচ তো বাড়লই। এখন মা দুর্গাই ভরসা।’’