prison

Bashirhat sub correctional home: বসিরহাটে জেল থেকে চম্পট দিল তিন বন্দি

তদন্তকারীদের অনুমান, লোহার রড বেঁকিয়ে বেরিয়ে, জলের পাইপ বেয়ে সংশোধনাগারের পিছন দিকে বড় পাঁচিল টপকে নীচে নামে বন্দিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১ ০৮:০০
Share:

n এখান থেকেই পালায় বন্দিরা। ছবি: নির্মল বসু।

শৌচালয়ের জানলার শিক বেঁকিয়ে, পাইপ বেয়ে নেমে পালাল বসিরহাট সংশোধনাগারের তিন বিচারাধীন বন্দি।

Advertisement

শুক্রবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে জেল কর্তৃপক্ষের। জেল আধিকারিক (জেলর) অমিত ভট্টাচার্য বসিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন ভোরেই তারা পালিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান।

সম্প্রতি বাদুড়িয়া এবং হাড়োয়ায় চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র বিক্রি-সহ নানা অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। এরা হল, হাড়োয়ার শেখপাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম মোল্লা, কাশীপুরের নাওলা গ্রামের মির আরিফুল এবং বসিরহাটের মুকুন্দপুর গ্রামের বাপি শেখ। সকলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ঠাঁই হয় বসিরহাটের সংশোধনাগারে।

Advertisement

বসিরহাট পুরসভার উল্টো দিকে এই সংশোধনাগারে প্রায় চারশো কয়েদি থাকে। এ দিন বন্দি পালানোর ঘটনা জানাজানি হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। কর্তারা অনেকে আসেন সংশোধনাগারে। দেখা যায়, শৌচাগারের জানলার শিক বেঁকানো। তদন্তকারীদের অনুমান, লোহার রড বেঁকিয়ে বেরিয়ে, জলের পাইপ বেয়ে সংশোধনাগারের পিছন দিকে বড় পাঁচিল টপকে নীচে নামে বন্দিরা। সেখান থেকে একটি গাছের ফাঁক গলে ইটিন্ডা রাস্তার উপরে লাফিয়ে পড়ে পালায়।

সংশোধনাগারকে ঘিরে রয়েছে ডাকঘর, মহকুমাশাসকের দফতর, পুরসভা, ইছামতী সেতু এবং ট্রাফিক পুলিশের দফতর। এমন ব্যস্ততম এলাকা থেকে কী ভাবে পালাল দুষ্কৃতীরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দিন বসিরহাটে আসেন কারাবিভাগের ডিআইজি নবীনকুমার সাহা-সহ অন্য আধিকারিকেরা। নবীন বলেন, “সংশোধনাগারের মধ্যে সিসি ক্যামেরা ছিল না। যাঁরা পাহারায় ছিলেন, তাঁদের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তথা বসিরহাটের মহকুমাশাসক মৌসম মুখোপাধ্যায় বলেন, “কী ভাবে ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “সংশোধনাগারের মধ্যে শৌচাগার বেহাল। বড় পাঁচিলের গা বেয়ে পাইপ লাগানো রয়েছে। গাছের কারণে একটা অংশ খানিকটা ফাঁকা রেখে ইটিন্ডা রাস্তার ছোট পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই কয়েদিদের পালাতে সুবিধা হয়েছে। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে আগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন