টুইট-অস্ত্রে ভরসা ফিরছে ট্রেনযাত্রীদের

ট্রেনের কামরায় তাস খেলতে কাউকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে আরপিএফ। তবে কামরায় বসে ধূমপানের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০২:২৮
Share:

ক্যানিং: টুইটের জের চলছেই। 

ক্যানিং লোকালে কিছু নিত্যযাত্রীর জায়গা দখল করে তাস খেলার প্রতিবাদ করেছিলেন এক সরকারি কর্মী। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। সোনারপুর রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি। পরে সৈয়দ মনজুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি রেলমন্ত্রকে টুইট করে বিষয়টি জানান। তারপরেই মন্ত্রক থেকে নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসে আরপিএফ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার তারা আপ ও ডাউন ক্যানিং লোকালে অভিযান চালায়। ট্রেনের কামরায় তাস খেলতে কাউকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে আরপিএফ। তবে কামরায় বসে ধূমপানের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

ক্যানিংয়ের বাসিন্দা মনজুর বলেন, ‘‘আমি প্রতি দিনই ক্যানিং লোকালে যাতায়াত করি। প্রতিদিনই দেখি, ট্রেনের কামরায় বসে কিছু নিত্যযাত্রী তাসের আসর বসায়। ওঠানামা করতে বাকিদের অসুবিধা হয়। প্রতিবাদ করলে নানা ভাবে কটূক্তি করা হয়। আমাকেও হেনস্থা করা হয়েছিল। রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। পরে খবরের কাগজ পড়ে রেলমন্ত্রকে টুইট করে প্রতিকার চেয়েছিলাম।’’ রেল পুলিশ যে অভিযান চালিয়েছে, সে কথা রেলমন্ত্রক থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে মনজুরকে। তবে তাদের দাবি, ক্যানিং থেকে ঘুটিয়ারিশরিফ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তেমন কোনও যাত্রীকে ট্রেনের কামরায় তাস খেলতে দেখা যায়নি। মনজুর ফের জানান, ঘুটিয়ারিশরিফের পর থেকে যাত্রীরা তাস খেলা শুরু করে। রেলমন্ত্রক যেন সে দিকে নজর রাখে।

লোকাল ট্রেনে সিট দখল নিয়ে বিভিন্ন লাইনে যাত্রীদের বহু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। সম্প্রতি সে কথা কয়েকজন টুইট করে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রকে। তার জেরে রানাঘাট, বনগাঁ, ক্যানিং লাইনে অভিযান চালিয়েছে আরপিএফ, জিআরপি।

Advertisement

শুক্রবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের আপ ক্যানিং লোকালে দেখা গেল, আরপিএফ অভিযান চালাচ্ছে। বিভিন্ন যাত্রীরা যথারীতি ট্রেনে জিনিসপত্র রেখে আসন দখল করে রেখেছিলেন। সেই সব জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতেই অনেকে কাকুতি-মিনতি করে ভুল স্বীকার করেছেন। অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন এ ধরনের অভিযানকে। যাত্রীরা অনেকে প্ল্যাটফর্মে হকারদের দাপট, জায়গা দখল-সহ নানা সমস্যার কথা মৌখিক ভাবেও জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেদর।

আরপিএফের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা নিয়মিত ট্রেনে নজরদারি চালাই। অনেক ক্ষেত্রে কেউ অভিযোগ জানাতে চান না। অভিযোগ পেলেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন