—প্রতীকী ছবি।
বছর চোদ্দোর কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে এক আত্মীয়-সহ দু’জন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে মনমরা হয়ে থাকত মেয়েটি। অভিযোগ, ১৫ জানুয়ারি নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দেয় সে। ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল এত দিন। মারা গিয়েছে মঙ্গলবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের গ্রামের মেয়েটি দিন কয়েক আগে কুলতলির গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেলা দেখতে গিয়েছিল। অভিযোগ, মেলা দেখে ফেরার পরে তার আত্মীয় এবং কালো লস্কর নামে স্থানীয় এক যুবক মেয়েটিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠের পাশে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
মেয়েটির বাবা কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কালো লস্কর এবং মেয়েটির আত্মীয়কে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ওই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
মেয়েটির আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হলেও ঘটনার পর থেকে মেয়েটি চুপচাপ হয়ে যায়। মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছিল না। ১৫ জানুয়ারি রাতে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সেখানেই মারা গিয়েছে ওই নাবালিকা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গণধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ধারার পাশাপাশি আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘মেলা দেখতে যাওয়াটাই আমার মেয়ের কাল হল। আত্মীয়েরা এমন করবে ভাবতেই পারিনি। দোষীদের চরম শাস্তি চাই। আমার একরত্তি মেয়েটার জীবনটাই শেষ করে দিল ওরা।’’