অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে, ধর্ষণের পাঁচ মাস বাদে জানল মা

শুক্রবার বিকেলে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পাথরপ্রতিমা থানায়। অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয় দাসকে খুঁজছে পুলিশ। সে চেন্নাইয়ে একটি কারখানার শ্রমিকের কাজ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রায় ছ’মাস আগে ধর্ষিতা হয়েছিল পাথরপ্রতিমার এক স্কুলছাত্রী। এখন সে প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পাথরপ্রতিমা থানায়। অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয় দাসকে খুঁজছে পুলিশ। সে চেন্নাইয়ে একটি কারখানার শ্রমিকের কাজ করে। এ দিনই দশম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা নেই। মা এবং দুই ভাই-বোনের সঙ্গে থাকে সে। পাড়াতেই থাকত সঞ্জয়। মাস পাঁচেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জল আনতে গিয়েছিল মেয়েটি। হাত কয়েক দূরেই পাড়ার কল।

Advertisement

সেখানে পিকনিক চলছিল। সঞ্জয়ও হাজির ছিল বলে দাবি মেয়েটির পরিবারের। মেয়েটিকে সে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ব‌লে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: নীরজাদের ঘাতক সেই বিমান ছিনতাকারীদের সাম্প্রতিক ছবি প্রকাশ

মেয়ের মায়ের দাবি, তিন দিন আগে ঘটনার কথা জানাজানি হয়। কিন্তু এত দিন বিষয়টি কেন জানায়নি মেয়েটি? পরিবারের দাবি, প্রথমত লোকলজ্জার ভয়, দ্বিতীয়ত ঘটনার কথা জানালে ছেলেটি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তাই মেয়ে ভয়ে মুখ বন্ধ রেখেছিল। স্থানীয় ভাবে অনেকেই অভিযোগ দায়ের করতে না করেছিল দরিদ্র ওই পরিবারকে। এরকমই দাবি করছেন মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক আলতাফ আহমেদের দাবি, মেয়েটির পরিবার স্থানীয় মানুষের চাপে অভিযোগ দায়ের করতে গড়িমসি করেছে। শুক্রবার তাঁদের প্রতিনিধির সঙ্গে গিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার। সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক কর্তা জানান, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য কাকদ্বীপে আনা হয়েছে। হোমে পাঠানো হবে কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন