ভাঙা কালভার্ট পেরোতে ভয় লাগে

মজে যাওয়া পদ্মা খালের উপরে একটি কালভার্ট ভেঙে লোহার খাঁচা বেরিয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন। অন্ধকারে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৭
Share:

ভাঙাচোরা: এই পথেই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন মানুষজন। দেগঙ্গায় ছবিটি তুলেছেন সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

মজে যাওয়া পদ্মা খালের উপরে একটি কালভার্ট ভেঙে লোহার খাঁচা বেরিয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন। অন্ধকারে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

তাঁদের দাবি, দুই পঞ্চায়েত ও দু’টি বিধানসভার অন্তর্গত ওই কালভার্টটি। কোন বিধায়ক তহবিলের টাকায় কাজ হবে, তা নিয়েই টানাপড়়েন চলছে। এ দিকে, ছ’টি গ্রামের মানুষ ওই কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করেন। চাষিরাও ফসল নিয়ে যান। সমস্যায় পড়েছেন সকলেই।

দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘মানুষের প্রয়োজনে কালভার্টটি নতুন করে তৈরি করার জন্য কী ভাবে টাকা বরাদ্দ করা যায়, তা নিয়ে জেলাস্তরে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’’ কালভার্টটি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাড়োয়ার বিধায়ক নুরুল ইসলামও।

Advertisement

দেগঙ্গার বিডিও অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কালভার্টটি সরেজমিনে দেখা হয়েছে। বরাদ্দের টাকার অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।’’

কালভার্ট-কাহিনি

• নির্ভরশীল গ্রাম:
দোহাড়িয়া, গাম্ভিরগাছি, খেজুরডাঙ্গা, নুরনগর ও চ্যাংদানা
• প্রতিদিন লোক চলাচল:
প্রায় হাজার দশেক

কালভার্টটি নতুন করে তৈরির জন্য কী ভাবে টাকা বরাদ্দ করা যায়, তা নিয়ে জেলাস্তরে কথা বলব।

— রহিমা মণ্ডল, দেগঙ্গার বিধায়ক

মজে যাওয়া পদ্মার উপরে ভাঙা কালভার্টের এক দিকে দেগঙ্গা ও অন্য দিকে হাড়োয়া বিধানসভা। বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের দু’টি পঞ্চায়েতেরও সীমান্তবর্তী ওই কালভার্ট। সে জন্য কে কালভার্ট সারাবে, তার দায় একে অন্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের সীমান্ত দিয়ে গিয়েছে পদ্মা খাল। বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ দিন সেই কালভার্টের বড় একটা অংশ ভেঙে রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে বিডিও দফতরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এলাকার মানুষ জানালেন, দোহাড়িয়া, গাম্ভিরগাছি, খেজুরডাঙা, নুরনগর ও চ্যাংদানা গ্রামের হাজার দশেক মানুষ কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করেন। লাল্টু মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘চাষের ফসল গ্রামের একমাত্র ইটের রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে হাটে নিয়ে যাই। তখন ভয় লাগে।’’ আবেদ আলি বলেন, ‘‘কালভার্টটি ভেঙে থাকায় অনেকটা ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে হাটে পৌঁছতে হয়। এতে টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়।’’ শিবানী শীল নামে এক মহিলার কথায়, ‘‘আমার ছেলে কার্তিকপুর হাইস্কুলে পড়ে। সাইকেল নিয়ে যেতে ভয় পায়, পাছে লোহার খাঁচায় আটকে বিপদ ঘটে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা বিজলি পাল, রেহেনা পরভিন, সমীর পালরা জানালেন, রাতে কালভার্ট পেরনো বেশ ঝুঁকির। আলো না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন